ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এখনও পিছু হটার সময় আছে বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা করে, সেক্ষেত্রে তা হবে দেশটির একটি ‘বিধ্বংসী ভুল’।
সোমবার স্কটল্যান্ডে সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি আসলে খুবই, খুবই বিপজ্জনক ও গুরুতর। আমরা সবাই একদম খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছি এবং আমি মনে করি, এই ইস্যুতে এখনও পুতিনের পিছু হটার সময় আছে।’
‘রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা করে বসে, সেটি হবে একটি বিধ্বংসী ভুল। সমস্যা যাই হোক— কূটনৈতিক সংলাপ ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার সমাধান হতে পারে এবং আমরা সবাই এই সংলাপে যুক্ত হতে চাই।’
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।
১৯৪৯ সালে গঠিত ন্যাটোকে রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে মনে করে; এবং ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপিত্যবাদের বিরোধী।
গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় ১ লাখ রুশ সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। সীমান্তের পাশাপাশি ২০১৫ সালে ইউক্রেনের কাছে থেকে দখল নেওয়া দ্বীপ ক্রিমিয়াতেও সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে সেনা উপস্থিতি; এছাড়া গত সপ্তাহে কৃষ্ণ সাগরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া।
ভ্লাদিমির পুতিন ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করবে না— রাশিয়া কেবল এই নিশ্চয়তা চায়।
কিন্তু ৩০ দেশের সামরিক জোট ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন প্রশ্নে ছাড় দিতে জোট একেবারেই প্রস্তুত নয়।