যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা হিসেবে আরও ৫৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এই আর্থিক সহায়তার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি ৩ কোটি ডলার মঞ্জুর করেছে যুক্তরাজ্য।
বিশ্বব্যাংকের একটি তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনে এই সহায়তা পৌঁছেছে এবং চলতি বছরের বাজেটে এই অর্থ অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছে বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের যেসব মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের সহায়তা ও জরুরি সামাজিক, মানবিক ও স্বাস্থ্যখাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।’
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার দু’দিন আগে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড লুহানস্ক ও দনেতস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
শুক্রবার এই যুদ্ধ গড়িয়েছে ৮৬ তম দিনে। ইউক্রেনের সব অঞ্চলেই তীব্র সংঘাত চলছে রুশ ও ইউক্রেনেীয় সেনাদের মধ্যে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের দুই উপকূলীয় শহর খেরসন ও মারিউপোলসহ দেশটির কয়েকটি এলকার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ সেনাদের হাতে।
প্রায় তিন মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের তেজ না কমার কোনো লক্ষণ না থাকায় চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন ইউক্রেনের সাধারণ বেসামরিক জনগণ। দেশটির সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে এবং যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ নিজেদের আবাস ছেড়ে দেশের অভ্যন্তরে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থান কিংবা প্রতিবেশি দেশ পোল্যান্ড-রোমানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, পৃথক এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে— যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে শুক্রবার ইউক্রেনে সহায়তা হিসেবে ৪ হাজার কোটি কোটি ডলার প্রদান বিষয়ক একটি বিল পাস হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্পোন্নত ৭ দেশের জোট জি-৭।