ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোরালো সমর্থন প্রদর্শনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেন ও মলদোভাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা দিয়েছে ২৭ দেশের এই জোটটি।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আজ ইইউ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের প্রধান শহরগুলো রাশিয়ান বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখা এবং গ্যাস ও শস্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ার পর পশ্চিমারা সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসাবে ইউক্রেন ও মালদোভাকে ইইউর প্রার্থীর মর্যাদা ঘোষণা করল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনস্কি তার দেশ এবং মালদোভা সম্পর্কে ইইউর সিদ্ধান্তকে ‘একটি অনন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসাবে স্বাগত জানিয়েছে। সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের এই দেশ দুটি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। এখন দেশ দুটি অবাধ চলাচল ও একটি সাধারণ বাজার সুবিধা পাবে।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ইইউর মধ্যে। আমরা জিতব, পুনর্নির্মাণ করব, ইইউতে প্রবেশ করব এবং তারপর বিশ্রাম নেব অথবা সম্ভবত আমরা বিশ্রাম নেব না।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইইউ নেতাদের সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে ‘অত্যন্ত জোরালো সংকেত’ পাঠিয়েছে যে, ইউরোপীয়রা ইউক্রেনের পশ্চিমাপন্থি আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।
এদিকে, হোয়াইট হাউজ ঘোষণা দিয়েছে তারা ইউক্রেনে উচ্চমানের মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসহ আরও ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের নতুন অস্ত্র পাঠাচ্ছে। হিমার্স সিস্টেম হিসাবে পরিচিত বর্ধিত পাল্লার এই রকেট নির্ভুলভাবে উৎক্ষেপণ এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
প্রাথমিকভাবে চারটি ইউনিট ইতোমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের এসব সরঞ্জাম পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাইডেন প্রশাসন বলেছে, এই রকেট রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলায় ব্যবহার করা হবে না বলে কিয়েভ আশ্বাস দিয়েছে। ইউক্রেনের ভূমিতে রাশিয়ান বাহিনীর মোকাবিলায় এটি ব্যবহার করা হবে।