প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার পাকাপাকি বন্দোবস্ত করতেই শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালানো হয়।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস গ্রুপগুলো বলে শাপলা চত্বরের ঘটনায় ৬০-৬১ জন মারা গেছে। আর হেফাজত বলে এখানে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে। কোনটা সত্য এটা জানার জন্য আমার মনে হয় হেফাজতের এখানে একটা রোল আছে। হেফাজতের উচিত, নিজে রিসার্চ করে বলা, কত জন মারা গেছে, কারা কারা মারা গেছে।’
১২ বছর আগে (২০১৩ সাল) ২৮ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাঈদীর ফাঁসির রায়ের সময় ভয়াবহ একটা হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আমি তখন জার্নালিজম করছি। সারা দেশে আমি ১৩০-১৩২ জনের মৃত্যুর সংখ্যা গুণেছি। ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিএনপিপন্থি প্রচুর ছেলেকে গুম করা হয়। কেউ বলে ২৪ জন, কেউ বলে ১৮ জনকে উধাও করা হয়েছে। তাদের এখনও পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে একসঙ্গে এতগুলো মানুষ গুমের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালটা বাংলাদেশের জন্য একটা ভয়াবহ বছর। সেই বছরের এপ্রিলেও একটা হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ২০১৩ সালের পুরোটার কালমিন্যাশান হলো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে হওয়া সব গুম-হত্যার বিচার করতে ইচ্ছুক অন্তর্বর্তী সরকার। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হওয়া গুম নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে জুলাই হত্যাকাণ্ডকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।’ এটি করার জন্য সরকারকে সময় দিয়ে সবাইব ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘ক্ষমতা হারানোর ভয়েই আওয়ামী সরকার শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে অংশগ্রহণ করে তা’ মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা ও তানযীমুল উম্মাহ আলিম মাদ্রাসা। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।