নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ২৮ লাখ টাকা মূল্যে ১৫০ টন কয়লাবোঝাই ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে পালিয়ে গেছে চালক ও তার সহযোগিরা। ঘটনাটি ঘটে উপজেলায় শম্ভুপুরা এলাকার মেঘনা নদীর ঘাটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কয়লার মালিক লিয়াকত হোসেন মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে আড়াইহাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি সুনামগঞ্জ তাহিরপুর থানাধীন পুরান খালস পো. ট্যাকের ঘাট এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। অভিযুক্ত ট্রলারের মালিকের নাম নাঈম (২৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানীদিয়া এলাকার আলমগীরের ছেলে।
অভিযোগে কয়লার মালিক লিয়াকত হোসেন উল্লেখ করেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কয়লার ব্যবসা করে আসছি। তার ধারবাহিকতায় চাঁদপুর এলাকায় কয়লা বিক্রির উদ্দেশ্যে বটচোরা ঘাট থেকে মা পরিবহন নামে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ভাড়া করি। ১৫০ টন কয়লা সেই ট্রলারে লোড করে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ১৪ জানুয়ারি আমার ভাই সহিদুল্লাহ (৬০) রওনা দেয়।
১৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আড়াইহাজার শম্ভুপুরা এলাকায় নদী ঘাটে নোঙর ফেলে বিরতি নেয়। এসময় ট্রলারের মালিক আমার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খাবার খান। খাবার খেয়ে আমার ভাই অচেতন হয়ে পড়েন। পরবতীতে ট্রলার মালিক আমার ভাইকে অন্ধকার স্থানে ফেলে রেখে ১৫০ টন কয়লা নিয়ে পালিয়ে যান। কয়লার মূল্য ২৮ লাখ টাকা।
পরে স্থানীয় সুজন নামে এক ব্যক্তি আমার ভাইকে দেখে পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে আমার ভাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে আমার ভাইকে অসুস্থ অবস্থায় পাই। তার কাছ থেকেই বিস্তারিত জানতে পারি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, আমরা একজনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। সে এখনও চিকিৎসাধীন আছে। তবে সে কয়লার বিষয়ে কিছু জানায়নি।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু নদীতে নৌ পুলিশের কাজ। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।