রুদ্রবার্তা২৪.নেট: আড়াইহাজারে চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফেসদৌসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে স্থানীয় ইলমদী কান্দাপাড়া এলাকার এলাকার শফিকুলের ছেলে।
রবিবার (৪ জুলাই) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোনারগাঁ উপজেলার তালতলা এলাকার পেচাইনে তার বোনের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ২ জুলাই সন্ধ্যায় মৃতের ছোট ভাই কাইয়ুম বাদী হয়েছে মামলা করেন। মামরায় প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় ইলমদী কান্দাপাড়া এলাকার এনামুল ও ফেসদৌসসহ অজ্ঞাত আরও ৬ ব্যক্তিকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিমকে তার বন্ধু এনামুল পাওনা টাকার মধ্যে ২১ হাজার টাকা দেবে বলে ফোনে ডেকে নিয়ে একটি ভবনের কক্ষের আটকে রাখেন। পরে মধ্যযুর্গীয় কায়দায় তার ওপর বর্বরতা চালানো হয়। ভবনের মালিক দায়েন ঘটনার জানার পরও কোন পদক্ষেপ না নিয়ে নিরব ছিলেন। পুরো ২৫ ঘন্টা হাত, পা ও মুখ বেঁধে তাকে আটক রাখায় শরীরে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। ১ জুলাই দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইব্রাহিম স্থানীয় ইলমদী খন্দকারকান্দী এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি ৩ সন্তানের বাবা ছিলেন।
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, আসামীদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন বেলা ১টার দিকে আড়াইহাজার থানা থেকে কিছু অদূরে চৌধুরীপাড়া জৈনক দায়েন নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন (৫তলা) ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষ থেকে চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার হাত ও পা রশি দিয়ে ও মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। ২৯ জুন বেলা ১টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাল কিনতে ১ লাখ টাকা নিয়ে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারে গিয়ে তিনি অপহরণের শিকার হন। প্রায় ২৫ ঘন্টা হাত, পা ও মুখ বেঁধে তাকে আটক রাখায় শরীরে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। ১ জুলাই দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইব্রাহিম স্থানীয় ইলমদী খন্দকারকান্দী এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি ৩ সন্তানের বাবা ছিলেন।