বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে সহানুভূতির বা মানবিকতা দেখানোর যে দাবি করা হচ্ছে- সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি বিএনপির নেতাদের জিজ্ঞাসা করি- তারা যে সহানুভূতি দেখাতে বলে, তারা যে সহযোগিতা চায়, খালেদা জিয়া কেমন আচরণ করেছিল? একুশে আগস্ট যে গ্রেনেড হামলা তার আগে খালেদা জিয়ার কী বক্তব্য ছিল?’
‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা কোনো দিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না- এই বক্তৃতাই তো খালেদা জিয়া দিয়েছিল এবং আওয়ামী লীগ একশো বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। আল্লাহর খেলা বোঝা তো ভার। বরং খালেদা জিয়াই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেনি, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারেনি। এটা তার ওপরেই ফলে গেছে।’
বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্টির অনেক নেতাকে গ্রেফতার করে যে অকথ্য অত্যাচার করেছে- বাহাউদ্দিন নাছিম থেকে শুরু করে মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবের হোসেন, শেখ সেলিমসহ বহু নেতাদেরকে গ্রেফতার করে তাদের উপর অকথ্য নির্যাতন করেছে। নাছিমকে তো এমন অত্যাচার করেছিল যে তাকে মৃত মনে করে তাড়াতাড়ি কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। সে বেঁচে গেছে। দিনের পর দিন অত্যাচার করেছে। আবার সে অত্যাচারের ভিডিও নিয়ে খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া দেখে উৎফুল্ল হয়েছে। এই ধরণের হিংস্র একটা চরিত্র আমরা দেখেছি।’
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে যুবলীগের এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।