মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

আলোচিত সেভেন মার্ডার : রায় কার্যকর না হলেও থেমে নেই নুর হোসেনের সাম্রাজ্য

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩, ৪.১২ এএম
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফাঁসি ৯ বছরেও কার্যকর হয়নি। বরং মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামী নুর হোসেনের বাহিনী রয়েছে বহাল তবিয়তে। প্রকাশ্যেই চলছে তাদের রাম রাজত্ব।

 

নুর হোসেন কারাবন্দি থাকলেও তার ভাই-ভাতিজারা নেতৃত্ব দিচ্ছে অপরাধ সাম্রাজ্যের। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাত খুনের ঘটনা ঘটেছিল। সেদিনের কথা স্মরণ করে এখনো ডুকরে কেঁদে ওঠেন স্বজনরা।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৫ আসামীর ফাঁসির আদেশ উচ্চ আদালতে বহাল থাকলেও আজও কার্যকর হয়নি সেই সাজা। বরং দীর্ঘদিন মামলাটি আপিল বিভাগে ঝুলে আছে।

 

এদিকে মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের লোকজন সিদ্ধিরগঞ্জে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। যার ফলে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের লোকজন। নূর হোসেনের ভাই জজ মিয়া নিয়ন্ত্রন করছেন নুর হোসেনের অপরাধ সাম্রাজ্য খ্যাত আলোচিত শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ড।

 

এখান থেকে সমস্ত অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করতেন নুর হোসেন। আরেক ভাই ভাই নুরুদ্দিন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। সেভেন মার্ডারের সময় নুর হোসেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। নূর হোসেনের ভাতিজা শাহ জালাল বাদলও ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।

সাত খুনের পর নুর হোসেনের সৈনিকরা পালিয়ে গেলেও ধীরে ধীরে তারা এলাকায় ফিরে আসে। বর্তমানে তারা জজ মিয়া ও নুরুদ্দিন মিয়ার ছত্রছায়ায় পূর্বের স্বপদে বহাল রয়েছে।

 

অপরদিকে, নিহতের পরিবারগুলো শত কষ্টে থাকলেও দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সাত খুনের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের খোঁজ নিতে গেলে তাদের চোখে-মুখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে নারকীয় এই হতাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির রায় বাস্তবায়নের দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রতিচ্ছবি। এছাড়াও তাদের মধ্যে বিরাজ করতে দেখা যায় নিরাপত্তা নিয়ে শংকা।

এ সময় সাত খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, দেখতে দেখতে ৯ বছর হয়ে গেল। কিন্তু ওকে কিছুতেই ভুলতে পারছি না। ওর সঙ্গের স্মৃতিগুলো ভোলা যায় না।

 

অনেক সুখের সংসার ছিল আমার। কিন্তু সেই সুখ সইল না। আমার নজরুলকে ওরা মেরে ফেলল। শুধু আমার নজরুলকেই নয়, নরপশুরা জলজ্যান্ত আরো ছয়জনকে নৃশংসভাবে খুন করল। এতগুলো বছর পার হয়ে গেল, বিচার কার্যক্রম এখনো থমকে আছে।

 

তিনি আরও বলেন, বড় ছেলে তারিকুল ইসলাম নাঈম আইটি তে মাষ্টার্স পড়ছে অষ্ট্রেলিয়ায়। সে পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু কাজ করে। তার পাঠানো টাকা আর বাড়ি ভাড়া দিয়ে কোনো রকমে আমাদের সংসার চলে। তবে সংসার চালানোর চিন্তার চেয়েও বড় চিন্তা নিরাপত্তা নিয়ে। একদিকে মামলার রায় কার্যকর হচ্ছে না।

 

অন্যদিকে নূর হোসেনের লোকজন সবই এলাকায় বহাল তবিয়তে আছে। তাদের প্রভাব কোনো অংশে কম নেই। ফলে তারা কখন কি করে এ নিয়ে আমরা চিন্তায় থাকি।

সাত খুনের ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শামসুন নাহার ওরফে নুপুরের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ও আমার সন্তান হলাম হতভাগিনী। বিয়ে হলো স্বামীর সঙ্গে ঠিকমত সংসার করতে পারলাম না। আমার মেয়ে রওজা দুনিয়াতে আসার আগেই তার বাবাকে হারালো। সে তখন আমার পেটে, গর্ভকালীন সাড়ে সাতমাস চলছিল।

 

ঠিক সেই সময় তারা আমার স্বামীকে নারকীয়ভাবে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। ৯ বছর পেরিয়ে গেল অথচ স্বামী হত্যার রায় কার্যকর দেখতে পারলাম না। আমি বেঁচে আছি না মরে গেছি সেটারও কেউ খোঁজ নেয় না।

 

ছোট্ট শিশু রওজা তার বাবার খুনিদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বলেন, যারা আমাকে এতিম করেছে তাদের যেন ফাঁসির ব্যবস্থা করা হয়। আমি আমার বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে পারি না। আমি প্রত্যেক খুনির ফাঁসি চাই।

 

৭ খুনে নিহত টেক্সটাইল ডিপ্লোমার ছাত্র তাজুল ইসলামের বাবা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন, কী দোষ ছিল আমার ছেলের। কী অপরাধ করেছিল সে, যে এভাবে মেরে ফেলতে হবে। ৯ বছর হয়ে গেল, কেউ আমাদের খোঁজটি পর্যন্ত নিতে এলো না। কষ্টে আছি নাকি সুখে আছি, মরে আছি নাকি বেঁচে আছি।

সাত খুনে নিহত যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই বর্তমান নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপন হোসেন বলেন, এখনো রায় কার্যকর না হওয়ায় আমাদের ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে শঙ্কা কাজ করে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক। এ রায়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক যে আর যেন কোনো নূর হোসেনের সৃষ্টি না হয়।

 

এদিকে মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট শাখাওয়াৎ হোসেন জানান, এ মামলার রায় কার্যকর করার দাবীতে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছি আমরা। সেখানে আমরা আইনজীবীরা এই মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবী জানিয়েছি।

 

তিনি আরও বলেন, আপিল ডিভিশনে এ মামলা শুনানির অপেক্ষায় আছে। মামলায় আসামী পক্ষ, রাষ্ট্রপক্ষ একাকার হয়ে গেছে। আসামিরা সরকারের সুবিধাভোগি লোকের অংশ। তারা শুনানি দেরি করাচ্ছে। আসামীরা জেলে থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জে নূর হোসেনের লোকজন প্রভাব বিস্তার করে আছে। ফলে নিহতদের পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় আছে।

 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লা লামাপাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র ও ২ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে র‌্যাবের একটি দল। পরে তাদের নৃশংস কায়দায় হত্যা করে মরদেহের সঙ্গে প্রায় অর্ধ শতাধিক ইট বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

 

অপহরণের তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল নজরুল ইসলামসহ ছয় জনের এবং ১ মে সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার শান্তির চর সংলগ্ন এলাকায় ভেসে উঠলে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ ভেসে ওঠার সেই লোমহর্ষক ঘটনা আজও ভুলতে পারেনি নিহতের স্বজনরা। এরপর র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারসহ প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

অপরদিকে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

 

এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (চাকরিচ্যুত) এম মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং নয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার রায় দেয়।

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই হত্যা মামলার রায়ের পর হাইকোর্ট ২০১৮ সালে ২২ অগাস্ট ২৬ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর মধ্যে ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় তারা হচ্ছেন- সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (চাকরিচ্যুত) এম মাসুদ রানা, হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, এ বি মো. আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব আলী, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলিম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম।

 

অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। এরপর মামলাটির ব্যাপারে আপিল করা হয়। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

 

৭ খুনে নিহত টেক্সটাইল ডিপ্লোমার ছাত্র তাজুল ইসলামের বাবা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন, কী দোষ ছিল আমার ছেলের। কী অপরাধ করেছিল সে, যে এভাবে মেরে ফেলতে হবে। ৯ বছর হয়ে গেল, কেউ আমাদের খোঁজটি পর্যন্ত নিতে এলো না। কষ্টে আছি নাকি সুখে আছি, মরে আছি নাকি বেঁচে আছি।

সাত খুনে নিহত যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই বর্তমান নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপন হোসেন বলেন, এখনো রায় কার্যকর না হওয়ায় আমাদের ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে শঙ্কা কাজ করে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক। এ রায়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক যে আর যেন কোনো নূর হোসেনের সৃষ্টি না হয়।

 

এদিকে মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট শাখাওয়াৎ হোসেন জানান, এ মামলার রায় কার্যকর করার দাবীতে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছি আমরা। সেখানে আমরা আইনজীবীরা এই মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবী জানিয়েছি।

 

তিনি আরও বলেন, আপিল ডিভিশনে এ মামলা শুনানির অপেক্ষায় আছে। মামলায় আসামী পক্ষ, রাষ্ট্রপক্ষ একাকার হয়ে গেছে। আসামিরা সরকারের সুবিধাভোগি লোকের অংশ। তারা শুনানি দেরি করাচ্ছে। আসামীরা জেলে থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জে নূর হোসেনের লোকজন প্রভাব বিস্তার করে আছে। ফলে নিহতদের পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় আছে।

 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লা লামাপাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র ও ২ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে র‌্যাবের একটি দল। পরে তাদের নৃশংস কায়দায় হত্যা করে মরদেহের সঙ্গে প্রায় অর্ধ শতাধিক ইট বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

 

অপহরণের তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল নজরুল ইসলামসহ ছয় জনের এবং ১ মে সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার শান্তির চর সংলগ্ন এলাকায় ভেসে উঠলে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ ভেসে ওঠার সেই লোমহর্ষক ঘটনা আজও ভুলতে পারেনি নিহতের স্বজনরা। এরপর র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারসহ প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

 

অপরদিকে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

 

এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (চাকরিচ্যুত) এম মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং নয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার রায় দেয়।

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই হত্যা মামলার রায়ের পর হাইকোর্ট ২০১৮ সালে ২২ অগাস্ট ২৬ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর মধ্যে ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।

 

যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় তারা হচ্ছেন- সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (চাকরিচ্যুত) এম মাসুদ রানা, হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, এ বি মো. আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব আলী, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলিম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম।

 

অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। এরপর মামলাটির ব্যাপারে আপিল করা হয়। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort