শ্রমিক পাঠাতে বাংলাদেশি নিয়োগকারী এজেন্সির সংখ্যা মালয়েশিয়া কমিয়ে ফেলায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর একাংশ ঢাকায় যে প্রতিবাদের হুমকি দিয়েছে, তাতে বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানন। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দেওয়ায় তিনি আরও বাংলাদেশি নিয়োগকারীকে নিষিদ্ধের পাল্টা হুমকি দিয়েছেন।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সারাভানন। সেখানে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা নিয়ে ভীত নন তিনি।
সারাভানন বলেন, ‘আমি ভীত নই। তারা যত বেশি হুমকি দেবে, আমি তত বেশি নিষিদ্ধ করব।’ এর আগে, বুধবার ঢাকায় প্রায় ২ হাজার নিয়োগকারীকে না রেখে ২৫ জনের সিন্ডিকেট দিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করা হলে কাফনের কাপড় পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নেওয়ার হুমকি দেয় জনশক্তি রপ্তানিকারকদের একাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি কোনও সিন্ডিকেটকে শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে নিয়োগের খরচ জনপ্রতি এক লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। যা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
এক বিবৃতিতে সারাভানান বলেছেন, সমঝোতা স্মারকে উভয় দেশের দায়িত্বের রূপরেখা রয়েছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের পাশাপাশি উভয় দেশের নিয়োগকারী বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।