নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল আল্লাহ নির্ধারন করে রাখবেন। কাকে জন প্রতিনিধি বানালে সাধারণ মানুষ ভালো থাকতে পারে। নির্বাচনে মানুষের হাতে সব ক্ষমতা, তাদের যাকে পছন্দ।
আপনারাই নির্ধারণ করবেন ইবলিশ আনবেন নাকি ভালো মানুষ আনবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দিব, যে আমাদের বিপদে পাশে ছিলো। গত ১৮ মাস আমি লাঙ্গল, ধানের শীষ, নৌকা কিছুই দেখি নাই। আমাদের কাছে নির্দেশনা ছিলো সাধারণ মানুষকে উপকার করতে হবে।
আমি নির্বাচন করবো নাকি অন্য কেউ নির্বাচন করবে এটা কোন বিষয় না। যারা জনপ্রতিনিধি হতে চান তাকে সজাগ থাকতে হবে মানুষের চাহিদার ব্যাপারে। যে ইচ্ছা সে নির্বাচন করেন, কোন বাঁধা নেই। কিন্তু অপচয় করবেন না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। বন্দর উপজেলা একটি শান্তিপূর্ন জায়গা।
আজকে অনেক বড় বড় নেত্রীরা বলেন, আমার কাছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এগুলো কোন বিষয় না। আমি কোন উত্তর দেইনি। আমার কথা হচ্ছে আপনি এতদিন কেন এই কথা ধরলেন না? আমি তো আগে থেকেই বলেছি আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমার কাছে কোন দল বড় ছোট নাই। এই কথা বন্দরে সাজে, নারায়ণগঞ্জে সাজে না। এটা উপজেলায় সাজে, সিটি করপোরেশনে সাজে না।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা আ’লীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,বন্দরে যেসব মানুষ আসে তাদের কেউ বাইরে থেকে আসে না। আর নারায়ণগঞ্জে যদি কোন সভা করা লাগে তাহলে নারায়ণগঞ্জের লোক লাগে না, দুই একটা গার্মেন্টসে বলে দিলেই তারা কয়েকশ লোক ম্যানেজ করে ফেলে। ওইখানে কোন দলই যায়না। মার্কা নিয়ে আসেন, নির্বাচন করতে পারবেন। খামাখা হাসা-মিথা কথা বলে কথা বাড়ানোর দরকার নাই। আজকে ভালা, কালকে খারাপ এটা কেমন কথা?
এ রাজাকার, ও রাজাকারের পোলা, আরে আপনার ইচ্ছামত নাকি? এবার মুখটা বন্ধ করেন। আল্লাহ যদি আপনার কপালে রাখে তাহলে অবশ্যই আপনি আবার মেয়র হতে পারবেন। মুখ দিয়ে যা বলেছেন তাই করেন, আমার কাছে কোন ভেদাভেদ নাই। অনেক মানুষকে ভালো বলেছেন, এই ভালো মানুষদের সাথে চলার চেষ্টা করেন। আপনি চামচাদের পাল্লায় আর পইরেন না। ভাল কাজ করেন নেত্রী আপনাকে দিলে আমরাও আপনার জন্য কাজ করব।
বন্দর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খোদা,সহকারী অফিসার(ভূমি) ফাতেমাতুজ্জোহরা, বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা,বন্দর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তাসহ বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ।