জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে সভা জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবার) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফাতেমা তুল জান্নাত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভূইয়া, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আমার কিন্তু ২টা জন্ম তারিখ। তার জন্যে কারণও অনেক। আমার জন্ম রেজিষ্ট্রেশন যেটা হয়েছে, পাসপোর্ট যেটা দেয়া হয়েছে, স্কুল থেকে যেটা দেয়া হয়েছে ঐটা আমার আসল জন্ম তারিখ না। তাহলে আমার একটা আসল আর একটা নকল জন্ম তারিখ। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা যাতে এই ভুয়া জন্ম তারিখ নিয়ে না বাঁচে। তারা যেন একটাই জন্ম তারিখ নিয়ে বাঁচে যেটা তাদের আসল জন্ম তারিখ। তারা সেটা পাসপোর্টে ব্যবহার করুক, সিআরবিএসের কাজ হচ্ছে সেটি হয়ে গেলে একটি আলাদা নাম্বার দিতে পারি। তাহলে অন্তত পক্ষে আমরা আমাদের সন্তানদের কাছে মিথ্যা পিতা-মাতা হয়ে বাঁচবো না।
তিনি বলেন, আমাদের স্থানীয় প্রশাসন ও চেয়ারম্যান মেম্বাররা চাইলে এ বিষয়ে উঠান বৈঠক করতে পারে। এলাকায় যারা গর্ভবতী বা যাদের সন্তান হবে তাদেরকে নিয়ে আপনারা বৈঠকগুলো করতে পারেন। আপনারা যদি আমাকে বলেন আমি যাবো সে বৈঠকগুলোতে। শুধু জন্ম নিবন্ধন না আপনারা সেখানে পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন পাশাপাশি এর আনুসাঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এছাড়া আপনারা মৃত্যু সনদের কথা তাদের বুঝাতে পারেন। যে মৃত্যু সনদ না হলে কিন্তু তার সন্তানেরা ওয়ারিশান সনদ পাবে না আর ওয়ারিশান সনদ না পেলে জমি মিডিটেশন করতে পারবে না। এসব করতে পারলে আপনি মানুষের আরও কাছে যেতে পারবেন। আপনি যে ভোট চাবেন তার জন্যে তো একটা কিছু তো লাগবে। এসব কৌশলগুলো আপনাদের আয়ত্ত করতে হবে।