নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ত্বকী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, নয় বছর যাবৎ আমাদের সন্তান ত্বকীর হত্যার জন্য বিচার চাইতে হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। ত্বকীর হত্যার বিচারটা হচ্ছে না সঠিকভাবে। অনেকগুলো আলোচিত হত্যাকান্ডের বিচার বাংলাদেশে হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকারের কাছে বলতে চাই, ত্বকী হত্যার বিচার দ্রুত করা হোক।
আমরা জানি, এখানে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী পরিবার জড়িত বিধায়াই ত্বকী হত্যার বিচার বিলম্ব হচ্ছে। এটা নারায়ণগঞ্জবাসী ধারনা করে। আমরা চাই এই ধারনা থেকে বের হয়ে এসে আমাদের সরকার যেটা সঠিক, যেটা ন্যায্য সেটাই করবে। সরকার কাছে আমাদের সন্তানের নির্মম হত্যার বিচার চাই।
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ৯ বছর উপলক্ষ্যে রোববার (৬ মার্চ) সকালে বন্দর উপজেলার মোল্লা বাড়ি এলাকায় ‘সিরাজ শাহর আস্তানায়’ ত্বকীর কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়াও ত্বকীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নিহত ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর, সাবেক সভাপতি জিয়াউল ইসলাম, প্রদীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, খেলাঘর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মহসিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুফিয়ান, গণসংহতি আন্দোনের জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
এ সময় মেয়র আইভী আরো বলেন, আমরা আর চাই না প্রতি মাসের ৮ তারিখে মোম শিখা প্রজ্জলন করে ত্বকী হত্যার বিচার চাইবো। সুষ্ঠ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে বিচার করা হউক।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর বলেন, যতই আঘাত আসুক না কেন, আমরা ত্বকী হত্যার বিচার চাই। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করেই ছাড়ব। যত দিন ত্বকী হত্যার বিচার না হবে, তত দিন আমরা রাজপথে থাকব, আন্দোলন চালিয়ে যাব।
নারায়ণগঞ্জ বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস বলেন, ত্বকী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হচ্ছে না। অবিলম্বে বিচার শুরু করার দাবি জানান তিনি।
সিপিবি জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম আজমেরী ওসমানসহ ত্বকীর ঘাতকদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।