বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এই মুহূর্তে ভারত থেকে ১৩-১৪ টাকা কমে তেল (ভোজ্যতেল) বিক্রি করছি। পাকিস্তান থেকে আমাদের টাকায় প্রায় ৩৬ টাকা কমে বিক্রি করছি। নেপালের প্রাইস (দাম) একই রকম আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে না কমলে আমাদের পক্ষে কমানো সম্ভব হবে না। আমাদের ডিপেন্ডেন্সি এখনো ৯০ শতাংশ বাইরের দেশের ওপর।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

টিপু মনুশি বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে যেটা দিয়েছিলাম- এটা কনটিনিউ করব। আমাদের ব্যবসায়ীরা যেটা রেগুলার ইমপোর্ট করে সেটা যদি করে থাকে, তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমরা দামটা ৩৮ টাকা বাড়িয়েছি। কিন্তু জনগণের কথা ভেবে রমজান মাসে সেটি করিনি। এফবিসিসিআই বলছিল ১৫ দিন পরপর দামটা দেখতে। আমরা এক মাস পরপর দেখি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে তার প্রভাব আমাদের বাজারেও পড়বে। তখন তেলের দাম কমবে। এ ছাড়া এখন বাজারে তেল না থাকার যে সংকট সেটি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কেটে যাবে। গত ৫ মে নতুন দাম নির্ধারণের পর ৬ ও ৭ মে সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। ফলে পেমেন্ট করে মাল নিয়ে তা ডিস্ট্রিবিউশন করতে সময় লেগেছে ব্যবসায়ীদের। এর বাইরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আগের দামের কিছু তেল লুকিয়ে রেখেছিল। সেটাও তারা বের করছিল না। এজন্য সংকট হয়েছে। আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি, আশা করি ২-৩ দিনের মধ্যেই তেলের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সরকার কবে থেকে তেল আমদানি করতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন ছিল মন্ত্রীর কাছে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, সবকিছু নিয়ে কাজ করছি। আমরা আশাবাদী, হয়ত জুন মাস থেকে টিসিবির মাধ্যমে তেল আমদানি করতে পারব।