ফতুল্লার কুতুবপুরের নূরবাগে সাবেক স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও-ছবি ফাঁসের হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সাবেক স্বামী নওমুসলিম আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় শনিবার (৫ মার্চ) রাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, পশ্চিম দেলপাড়ার নূরবাগ এালাকার বেলায়েত মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম৷ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে দুই লক্ষ টাকা দেনমোহরে বাদিকে বিয়ে করেন রহমান। বিয়ের পরপর বাদী জানতে পারেন তার অভিযুক্ত রহমান মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী।
বিবাদীকে মাদক ছেড়ে দিতে বললে সে বাদীকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো। বিয়ের পর বাদী কে প্রায় সময় যৌতুকের জন্য মারধর করতো। নির্যাতনের কবল থেকে রেহাই পেতে পিত্রালয় থেকে অভিযুক্তের নিকট আড়াই লাখ টাকা এনে দেয়। তাছাড়া বিয়ের সময় পিত্রালয় থেকে দেওয়া তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকারও তুলে দেয় নওমুসলিম আব্দুর রহমানের নিকট। তারপর ও টাকার জন্য বাদীকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো।
এমন কার্যকলাপ সহ্য করতে না পেরে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর আব্দুর রহমানকে ডিভোর্স দেন বাদী। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে গোপনে ধারণ করা উভয়ের অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিয়ে রহমান বাদীকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে। তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাদীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতে থাকে। শুধুমাত্র শারিরীক সম্পর্কই নয় বাদীর নিকট দাবী করা হচ্ছে মোটা অংকের টা।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বলেন ‘আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে রহমান৷ ও বাসায় বসে ইয়াবা খেতো আমার সামনে। ওর মাদক ব্যবসার কথাও আমি জানতাম না। এসবে বাধা দিলেই ও আমাকে কাঅমানুষিক নির্যাতন করতো৷ মেরে রক্তাক্ত করতো, এমনকি নেশা করে সুই দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতো৷
বিভিন্ন অজুহাতে আমার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার নিয়েছে। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ও জীবন বাঁচাতে আমি ওর বাসা থেকে পালিয়ে এসে ডিভোর্স দেই৷ কিন্তু ও আমার অজান্তে ধারণকৃত উভয়ের অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে যাচ্ছ। জীবনের সব সম্বল খুইয়ে আমি এখন অসহায় অবস্থায় আছি৷’
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক শাহাদাত জানায়, বেশ গুরুত্ব সহকারে অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।