নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় নাতনীকে তুলে নিতে এসে বাধার মুখে পড়ে লাথির আঘাতে নানি শাহিদা বেগমকে (৬০) হত্যা এবং নানা ও মাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক বখাটে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী নাতনী মীমের মা রওশন আরা এবং নানা ফজলুল করিমকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহত শাহিদা বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে ।
নিহত শাহিদা বেগমের মেয়ে শারমিন আক্তার জানান, পাশ^বর্তী উচিৎপুরা ইউনিয়নের দাসিরদিয়া গ্রামের ছায়েদ আলীর পুত্র আমান (৩০) এর সাথে হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী গ্রামের রওশন আরার মেয়ে মীম (১৬) এর ফেজবুকে পরিচয় হয়। কিন্তু পরে আর মীম আমানের সাথে যোগাযোগ না রাখায় আমান মীমের এলাকায় এসে তাকে উত্যক্ত করতে থাকে। ঘটনার সময় মীমের গ্রামের দেলোয়ারসহ আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে এসে মীমকে তার বাড়ী থেকে তুলে নিতে চেষ্টা করে আমান। এতে বাধা দেন মীমের পরিবারের লোকজন। ফলে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমানের লাথির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মীমের নানি শাহিদা বেগমের মৃত্যু হয়। শাহিদা বেগমকে বাঁচাতে এলে নিহতের মেয়ে মীমের মা রওশন আরাকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং মীমের নানা ফজলুল করিমেক ও পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় মীমের মা রওশন আরা ও নানা ফজলুল করিমকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ বৃহষ্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। এই ঘটনার পর থেকে আমান পালিয়ে গেছে। তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা ঘটলেও শাহিদা বেগমের মৃত্যু আঘাতের কারণে হয়েছে কি না তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে বলা যাবেনা। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।