শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০২:৫০ অপরাহ্ন

আড়াইহাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১২.১৪ পিএম
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

আড়াইহাজারে জমে উঠেছে স্থানীয় কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি অস্থায়ী কুরবানীর পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুর হাট বসে। তবে বড় পরিসরে বসে আড়াইহাজার পৌরসভা ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট।

এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগম হয়ে উঠেছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেচাকেনা হয়েছে ভালো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই পশু বেচাকেনা হয়েছে। তবে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হত্যাশ হয়েছেন অনেক বিক্রেতা।

অপরদিকে পশুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশী বলে দাবী করেছেন অনেক ক্রেতা। তবে তুলনামূলক বড় গরুর চেয়ে ছাট গরুর দাম বেশী লক্ষ্য করা গেছে। এই হাটে উঠানো হয় ‘বস’ খ্যাত একটি ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ষাঁড়ের মালিক স্থানীয় খাগকান্দা ইউনিয়নের নয়নাবাদ এলাকার রেজাউল।

তার দাবী এটির ওজন প্রায় ২৫ মণ হবে। তিনি এটির দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। রেজাউল বলেন, আশা করছি বাড়িতে রেখেই ষাঁড়টি বিক্রি করতে পারবো। এরই মধ্যে ক্রেতা ভিড়ছেন। তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক গো-খাদ্য দিয়ে ষাঁড়টি ১৫ মাস ধরে লালন-পালন করছেন।

এরই দেহের গঠন দেখে নাম রাখা হয়েছে ‘বস’। বিশাল পরিসরে এই হাটের কানাকানায় কুরবানীর পশুর সমাগম হয়েছিল। ক্রেতারা পশুর দারদাম করছিলেন। উপজেলার শিবপুর এলাকা থেকে আসা ক্রেতা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পশুর দাম তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি। ৫ মণ ওজনের একটি ষাঁড় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনা যাবে বলে মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক কুরবানীর পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। এতে প্রতি বছরই কুরবানীর পশুর বাজার নিম্মমুখী থাকে। এদিকে পশুর দাম কম থাকায় হত্যাশা প্রকাশ করেছেন খামারীসহ পাইকাররা।

স্থানীয় খাগকান্দা এলাকার এই হাটে ৪টি ষাঁড় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন মিজান মিয়া। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর পশুর দাম নিম্মমুখী। তিনি বলেন, আমার প্রতিটি ষাঁড়ের ওজন ৫ মণের অধিক হবে। এগুলো দাম ক্রেতারা বলছেন ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

এতে আমার বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান যাবে। গত বছরও একইভাবে লোকসান হয়েছিল। আশায় ছিলাম এছর কিছু টাকা লাভ করে গরু বিক্রি করতে পারবো। কিন্তু হাটের অবস্থা ভালো না।

স্থানীয় দক্ষিণপাড়া থেকে আসা ক্রেতা বশীর বলেন, পশুর দাম হাতের নাগালে রয়েছে। ঈদের আরো বেশ কিছুদিন বাকী আছে। এখনই পশু কিনবো না। আরো কয়েকটি দিন দেখে নেই। বাজার আরো নিম্মমুখী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। স্থানীয় বিশনন্দী এলকার পাইকার রহিম মিয়া বলেন, ১৫টি ষাঁড় নিয়ে আসছিলাম। মাত্র ২টি বিক্রি হয়েছে।

কয়েকদিনের টানা মুষলধারে বৃষ্টির কারণে হাটের অবস্থা বেহাল দশা। এমনভাবে চলতে থাকলে মোটা অংকের টাকা লোকসান যাবে।

আড়াইহাজার পৌরসভা অস্থায়ী পশুর হাটের কমিটির প্রধান ও আড়াইহাজার সরকারী সফর আলী কলেজের সাবেক ভিপি কবির হোসেন বলেন, হাটের সার্বিক অবস্থা ভালো। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে বৃহম্পতিবার ও শুক্রবার হাট ভালো জমে উঠবে। ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্স্থে সকল ধরনের সু-ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এদিকে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার নাছির উদ্দিন বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তার সার্স্থে হাটগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort