নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কাহেন্দী গ্রামে ডাকাতির চেষ্টার সময় এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বিল্লাল (৪৫) নামে এক ডাকাত নিহত এবং তার সহযোগী এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কাহেন্দী গ্রামের বাসিন্দা জাকিরের বাড়িতে ডাকাতি করতে আসে বিল্লাল (৪৫) এবং তার সহযোগী লাভলীসহ (২৫) ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জাকিরের বাড়ি ঘেরাও করে। পালানোর চেষ্টা করার সময় ডাকাত বিল্লালকে কাহেন্দী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে ওয়াসার লাইনের কাছাকাছি ধরে ফেলে এলাকাবাসী। সেখানে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
অন্যদিকে সহযোগী লাভলী জীবন বাঁচাতে জাকিরের বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার জোনের সার্কেল এএসপি মেহেদী ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত ডাকাত বিল্লালের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আহত ডাকাত লাভলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি ডাকাত না। আমি দেহ ব্যবসা করি। মানুষ দেখে ভয়ে আমি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। পরে গ্রামের মানুষ আমাকে অনেক মারধর করেছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নিহত বিল্লালের বিরুদ্ধে খুন ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে। তবে আটক নারী ডাকাত কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে।