দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি। দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা। ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৫টি বুথে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হবে।
ডা. শামসুল হক জানান, ফাইজারের টিকা দেওয়া এবং ডাইলুয়েন্ট মিশ্রণের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের প্রয়োজন হয়। এ কারণে নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রতিটিতে ২৫টি করে বুথ থাকবে। এসব স্কুল তাদের বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দিতে পারবে। তবে রেজিস্ট্র্রেশন ছাড়া কাউকে টিকা দেওয়া হবে না। নিবন্ধন করতে হবে এবং টিকা নেওয়ার জন্য টিকা কার্ড নিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কেন্দ্রিয় পুলিশ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডা. শামসুল হক। ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়।
তাদের কারও কোনো সমস্যা না হওয়ার পর স্কুলশিশুদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের ৭০ লাখের বেশি ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর পুরোটাই এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহায়তায় ঢাকায় আটটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্য সব স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে। এগুলো হলো- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।