নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতজন পুলিশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো। যা আমদের গর্ব করার মত আরেকটি বিষয়। তখন পুলিশই বা কতজন ছিলো? তাদেরকে এই সংবর্ধনা দেওয়ার মাধ্যমে আজকে আপনাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রদর্শনকে আমি ধন্যবাদ জানাই। বারবার আমাদের প্রকৃত ইতিহাসকে পরিবর্তন করার চেষ্টা চলেছে। কিন্তু আজকে সেই প্রকৃত ইতিহাস আমাদের সামনে এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার ঘাতকরা আমাদের আশার আলোকে ডুবিয়ে দিয়েছিলো। আমরা যদি তার পরেও ভাবি কি না হয়েছে। শান্তি রক্ষায় এবং দেশ রক্ষায় আমাদের পুলিশ বাহিনীসহ নানা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। আজকে দেশে যোগ্য নাগরিকের অভাব নেই। যারা আমাদের জন্যে দেশের বাইরে থেকেও অনেক সুনাম কুড়িয়ে আনছে। আজকে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। এসবই সম্ভব হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ফসল। যদি মুক্তিযুদ্ধ না হতো, আমরা যদি স্বাধীনতা না পেতাম তাহলে এসব সম্ভব হতো না।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ লাইন্সের মাল্টিপারপাস হলে জেলা পুলিশ কতৃক আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকদের দরকার। তাহলে আমরা এগিয়ে যাবো এবং আমাদের আশা আকাঙ্খার বাস্তবায়ন খুব দ্রুত ঘটাতে পারবো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাই চেয়েছিলো। সেই আদর্শের প্রতি সম্মান রেখে তারই সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দেখছি সবাই মিলেমিশে ভালো আছি। আমরা আরও ভালো থাকতে চাই। এক সময় স্লোগান ছিলো, অন্ন চাই বস্ত্র চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই। এখন আর অন্নের কোনো অভাব নেই। কেউ না খেয়ে থাকে না। বস্ত্রেরও কোনো অভাব নেই। আমরা এসবে অনেক এগিয়ে আছি। স্বাস্থ্যখাতে আমরা এগিয়ে যেতে চেষ্টা করছি।
এসময় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘খ’ সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. আলী প্রমুখ।