রুদ্রবার্তা২৪.নেট: ‘আজকাল অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের অবজ্ঞা করেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আপে প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সমাজে সেভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়, আর্থিকভাবে বলিয়ান নয়। এই কারণেই অনেকেই তাদের অবজ্ঞা করে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গোলাম দস্তগীর গাজী ‘বীর প্রতীক’ উপাধি পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একাত্তরে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেন। তারপর স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিরাই আবার মতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের মামলা-হামলা দিয়ে নাজেহাল করেছে। কাজ করবো তো দূরের কথা আমরা পালিয়ে বেরিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি তো জানি আমাদের কী অবস্থা হয়েছিল। একটি সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে পারতাম না। এখন মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াই। অথচ এক সময় চাকরির আবেদনে মুক্তিযোদ্ধা লিখতো না। কারণ মুক্তিযোদ্ধা লিখলেই চাকরি হতো না। কারণ মতায় ছিল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।’
সরকারদলীয় এই মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
নগরীর দেওভোগের মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পরিষদের নর্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এসএম মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত প্রমুখ।
এই সময় জেলার ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্বরূপ ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।