পাকিস্তান ও ভারত একসঙ্গে স্বাধীনতা লাভ করেছে। কিন্তু পাকিস্তানকে সব সময় টিসু পেপারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে এবং ছুড়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের কোনো রাজনীতিকই কখনোই এর বিরুদ্ধে দাঁড়ায়নি।
চলমান বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে ঠিক সেই একই কাজ করছে। কিন্তু ইমরান খানই একমাত্র রাজনীতিক যিনি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ক্ষমতার প্রথম দিন থেকেই ইমরান খানের স্পষ্ট নীতি ছিল, বিশ্বজুড়েই কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে আমাদের। এক্ষেত্রে আমরা কারও খবরদারি মেনে নেব না। আমাদের বৈদেশিক সম্পর্ক পরিচালিত হবে শুধু আমাদের দেশের স্বার্থে। কিন্তু তথাকথিত এ পরাশক্তি (যুক্তরাষ্ট্র) পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের এ নতুন ও স্বাধীন অবস্থান হজম করতে পারেনি।
আর তাই তারা ইমরান খানকে উৎখাত করতে অনাস্থা ভোটের মঞ্চ প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছে। তাদের কারণেই একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এখন ক্ষমতার বাইরে। এখানে আমাদের কিছু নেতা রয়েছেন যারা প্রকাশ্যেই বলে থাকেন, ভিক্ষুকের কোনো পছন্দ নেই/ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া। এমন কথা আমাদের বিদেশি সমর্থনপুষ্ট প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফেরই। অনাস্থা ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগেই দেশের একটি প্রধান গণমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন মানসিকতার নেতাই চায়।
যিনি কিছু ডলারের বিনিময়ে তাদের জন্য সবকিছু করবে। কিন্তু ইমরান খান এটা কখনোই হতে দেবেন না। দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং একটা প্রকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে ওঠার লক্ষ্যে আমাদের দলের সদস্যরা একযোগে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা এখন এই দুর্নীতিবাজ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামব। পাকিস্তানের জনগণ নিশ্চিতভাবেই ইমরান খানের সঙ্গে আছে। আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব এবং পাকিস্তানকে একটা প্রকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে তুলতে আমাদের যে স্বপ্ন, তা একদিন সত্যি হবেই। এই মুহূর্তে সরকারের সব যন্ত্রই আমাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পাকিস্তানের বেশির ভাগ মানুষ আমাদের নেতা ইমরান খানের সঙ্গে আছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী নির্বাচনেই আমরা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরব।
লেখক : পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এমপি বা এমএনএ। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে (এমএনএ) করাচির কোরাঙ্গি আসনের সদস্য। দলনেত ইমরান খানের নির্দেশে সোমবার পিটিআই-এর সংসদ-সদস্যরা সবাই পদত্যাগ করেন। তবে নতুন সরকার এখনো তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। সে হিসাবে তারা এখনো পাকিস্তান পার্লামেন্টের সদস্য।