মোঃআক্তার হোসেন: কুতুববাগ দরবার শরীফের পীর ও মোর্শেদ আলহাজ্ব শাহসুফি হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দী মোজাদ্দেদী বলেছেন, পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে মানবসেবার মনোভাব নিয়ে সুফিবাদের পতাকা তলে আমাদের সবাইকেই সমবেত হতে হবে। কেননা সুফিবাদই শান্তির পথ আর মানব সেবাই পরম ধর্ম । মানবপ্রেমী সুফি সাধকরা শরীয়ত এবং মারেফাত উভয় সাধনার মধ্যে দিয়ে মানুষকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশিত সত্য পথের সন্ধান দিয়ে থাকেন। আত্মশুদ্ধির মধ্যে দিয়ে মানুষের অন্তর পরিষ্কার হয়, ইবাদতে (একাগ্রতা) হুজুরি হয় আর নামাজই হলো শ্রেষ্ঠ ইবাদত।
নারায়ণগঞ্জ জেলার (সাবেক বন্দর রেললাইন সংলগ্ন) কুতুববাগ দরবার শরীফের বিশাল ময়দানে লাখো আশেকান মুরিদান ভক্ত জাকেরের উদ্দেশ্যে খাস বয়ানে খাজা বাবা কুতুববাগী কেবলাজান শুক্রবার এসব কথা বলেন।
দেশের প্রতিটি জেলা থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও অসংখ্য আশেক জাকেরান দলে দলে কাফেলা নিয়ে এই বিশ্বজাকের ইজতেমায় যোগদান করেন। ভারতসহ বিদেশি অনেক জাকের মুরিদও এই ওরসে শরিক হন।
এর আগে গত বুধবার বাদ জোহর পবিত্র ফাতেহা পাঠের মধ্য দিয়ে খাজাবাবা কুতুববাগী এই বার্ষিক মহাপবিত্র ওরস ও বিশ্বজাকের ইজতেমার উদ্বোধন করেন। তিনদিনের
আমবয়ানে কুতুববাগ দরবারের ওলামা মিশনের সদস্যগণ ছাড়াও শরীয়ত তরিকত হাকিকত মারেফত বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহ ও ইজমা-কিয়াসের আলোকে মূল্যবান বয়ান পেশ করেন দেশবরেণ্য হাক্কানী ওলামায়ে কেরামগণ।
শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি বাদজুমা কুতুবাগী পীর সাহেব হযরত সৈয়দ জাকির শাহ বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। লাখো মানুষের আমীন আমীন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে ওরসের বিশাল প্রাঙ্গন। উল্লেখ্য বিগত কয়েকদিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আগত ভক্ত জাকেরদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে কুতুববাগ দরবার কর্তৃপক্ষ।