বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বাংলাদেশে একটি সষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে মানুষ যাকে ভোট দিবে সে সরকার গঠন করবে।
আওয়ামী লীগ এখন আর রাজনৈতিক দল না। আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন দাবী না মানলে ফয়সালা হবে রাজপথে। আপনারা কঠোর সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকুন। আমরা আমাদের দাবী আদায় করেই ছাড়বো।
একদিন তো ক্ষমতা থেকে যেতে হবে। তখন বুঝবেন আপনার অপরাধ কত ছিল। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতেই এক দফা দাবী দিয়েছেন। এটি দেশের আপামর জনতার ঈমানী দায়িত্ব।
শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) বিকেলে নগরীর খানপুর হাসপাতাল রোডে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির গণমিছিল পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
এ সময় আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের প্রধান সবসময় বলে আমাকে সবাই ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। আমার অপরাধটা কী। প্রথম কথা হল আপনি অবৈধভাবে দখল করে আছেন। এটাই আপনার বড় অপরাধ। আপনি মানুষের অধিকার রক্ষায় যে সংস্থা আছে যেমন সংসদ সেখানে মাস্তান বসিয়ে রেখেছেন।
মানুষ ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে যায়। আপনি সে আদালতকে বানিয়েছেন ক্যাঙ্গারু আদালত। আপনি জনগণের সকল অধিকার লুন্ঠন করে ফেলেছেন। মানুষের ভোটের অধিকারসহ সকল অধিকার লুন্ঠন করেছেন। গুম খুন করে সমাজটাকে নষ্ট করে দিচ্ছেন।
আপনি অর্থনীতিকে নষ্ট করে ফেলেছেন। লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো আজ সম্পূর্ন ধ্বংস। জিনিসপত্রের দাম অন্য দেশে অনেক কম। এতকিছু পরেও বলেন আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় আমার কী দোষ। আপনার দোষ বলা শুরু করলে এক রাতে তা শেষ হবে না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, প্রধান বক্তা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (ঢাকা বিভাগীয়) সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
গণমিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মো. রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান দুলাল, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল,মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানাসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।