দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণার আওয়ামী লীগের শেষ সমাবেশ নারায়ণগঞ্জে হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান।
তিনি বলেছেন, পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন আগামী ৪ তারিখ বিকেল আড়াইটায় শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে জাতির পিতার কন্যা আসবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।
সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সমাবেশ ঢাকায় না করে আমাদের এখানে করবেন তিনি। আমাদের যেভাবে তিনি মূল্যায়ন করেছেন এটায় আমরা গর্ববোধ করছি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।
চার তারিখের সমাবেশের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, এই স্টেডিয়ামে ঈদের জামাতে এক লাখ পঁচিশ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারেন। সে হিসেবে প্রায় আড়াই লাখ লোকের এখানে জায়গা হবে। পাশাপাশি রাস্তাও আছে। এখানে আমাদের সাধারণ সম্পাদকসহ আরও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থাকবেন। আমার এলাকায় আর তেমন কাজ নেই। আমি স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে বলব সবাই যেন এদিন আসে। স্মরণকালের বৃহত্তর সমাবেশ আমরা নারায়ণগঞ্জে করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণে হয়ত অনেকে মাঠে নেই। জেলা ও মহানগরের সভাপতি, মেয়র আইভী হয়ত কোনো কারণে নামেননি৷ তবে চার তারিখে যখন জাতির পিতার কন্যা আসবেন সেদিন সবাই আসবেন। সবাই একই মঞ্চে উঠবেন আশা করছি। আনোয়ার সাহেব ও আব্দুল হাই সাহেব আমার বড় ভাই। তিনি জানেন হয়ত আমাদের এলাকায় সাহায্য করার দরকার নেই। যেখানে সাহায্য দরকার তিনি সেখানে গেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। একটা লোক গাছ লাগায় ফল খায়। আমরা গাছ লাগাব, মানুষ যেন একটু কষ্ট করে ফলটা খায়। আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণায় সবাইকেই চাই, শুধু আইভী কেন, আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নেই।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এ সংসদ সদস্য বলেন, সারা দেশেই নির্বাচনের পরিস্থিতি ভালো। আমরা একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তারা ৭১ সালেও ছিল। সেই রাজাকার আলবদরের সঙ্গে আরেকটি দল যুক্ত হয়েছে। আমি ওদের সন্ত্রাসী দল বলি। তাদের সঙ্গে আরও কিছু সুশীল আছে।
তিনি যোগ করেন, আমি পাঁচটি নির্বাচন করেছি। ২০০১ সালেও আমি জয়ী হয়েছিলাম। সেই রেজাল্ট বদলে বিএনপিকে পাশ করানো হয়। আমি কখনও হারিনি। সকল নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন কঠিন। ৭০ সালের নির্বাচন ছিল দেশ স্বাধীনের নির্বাচন। এবার তারা চাইবে যে ভোটের পার্সেন্টেজ যত কমানো যায়। তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি ফ্রি-ফেয়ার ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। মানুষ যেন ভয় না পায় সেটা ভাঙানোই আমাদের কাজ।
তিনি আরও বলেন, আমি এর আগে পাঁচটি নির্বাচন করেছি। এবার সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখেছি। সাধারণ মহিলারাও বলে মানবাধিকারের প্রশ্ন আমার দেশে আসে, ফিলিস্তিনে আসে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক স্মার্ট।
সাংবাদিকদের আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা এ সিটটি খালি রেখেছেন সেলিম ওসমান বা শামীম ওসমানের জন্য না। এটা রেখেছেন আমার বাবা, দাদা, আমার বড় ভাই এখান থেকে অতীতে নির্বাচন করেছেন। তাদের প্রতি ভালবাসা থেকেই এ সিটটি খালি রাখা হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমানকেও তিনি পছন্দ করেন।