সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে সরকার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৩.৫৮ এএম
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যদিয়ে বিশ্ব যাচ্ছে। তবে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে তার সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রোববার তার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এসএ মালেক স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব অডিটোরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শে আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একদিন উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে উঠবে।

ডা. এসএ মালেকের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যে কয়েকজন অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে তিনি (ডা. মালেক) অন্যতম। অত্যন্ত বৈরী পরিবেশের মধ্যেও তিনি জাতির পিতার আদর্শকে সামনে আনেন এবং বিশেষ করে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও নেতাকর্মীদের জানানোর বিষয়টি তিনি অনেক দক্ষতার সঙ্গে করে গেছেন।

তিনি বলেন, ডা. এসএ মালেকের লেখনীর হাত ভালো ছিল। সেই লেখনীর মাধ্যমে জাতির পিতার আদর্শকে তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে-সেটাও তিনি লিখে গেছেন। আমি মনে করি, সেগুলো আমাদের জন্য একটা বিরাট সম্পদ হিসাবে থাকবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, স্কুলজীবন থেকে রাজনীতি করলেও কখনো আওয়ামী লীগের সভাপতি হব তা ভাবিনি। ১৯৮১ সালের কাউন্সিলে দল আমার অনুপস্থিতিতেই আমাকে সভাপতি করে এবং আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। এক্ষেত্রে ডা. মালেক ও মোহাম্মদ হানিফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কারণ তারা জনমত তৈরি করেন এবং দলীয় ফোরামে নিয়ে গেছেন।

ডা. মালেককে রাজনীতি সচেতন হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে তার ভ‚মিকা ছিল। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন ডা. মালেক। তার যুদ্ধক্ষেত্র কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এয়ার রেইড চলার সময়ও তিনি বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকা নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি মোশতাক নিজেকে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে অনেক সংসদ-সদস্যকে আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। ডা. মালেক সেখানে যাননি এবং অনেককে সেখানে যোগদান থেকে বিরত রাখেন। পাশাপাশি খুনিদের বিরুদ্ধে দেশের মধ্যে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ফলে এক সময় তাকে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা ডা. মালেক খুব সাদাসিদে জীবনযাপন করতেন। একজন এমবিবিএস চিকিৎসক হয়েও তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতেন। তার রোগ নির্ণয় এবং নিরাময় অত্যন্ত কার্যকর ছিল। এক সময় নিজেও (শেখ হাসিনা) তার হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে আরোগ্য লাভ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সিনিয়র সাংবাদিক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার ডা. এসএ মালেক ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-আলোয় আঁকা সাহসী মানুষের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক এবং ডা. এসএ মালেকের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort