রুদ্রবার্তা২৪.নেট: অবশেষে কোভিড ডেডিকেটেড নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে তরল অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে প্রায় ৫ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন ট্যাংকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কারিগরি কাজ রোববার (১৮ জুলাই) বিকেলের মধ্যে সম্পন্ন হলে রাত থেকে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সেবা প্রদান করা যাবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক। এমনটা হলে কোভিড ডেডিকেটেড ঘোষণার ১৫ মাস পর কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সেবা শুরু হবে এই হাসপাতালে। তবে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবা দিতে তরল অক্সিজেন সরবরাহ নিয়মিত হতে হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৮ মার্চ সারাদেশের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরে। এক পর্যায়ে এই জেলাকে করোনার এপিসেন্টার ও হটস্পট ঘোষণা করা হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই বছরের ৮ এপ্রিল জেলার একমাত্র বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালটিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করে সরকার। পরদিন থেকে হাসপাতালটিতে অন্যসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শুরুতে ১০টি আইসিইউ ও ৪০টি আইসোলেশন শয্যা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তীতে আইসোলেশন শয্যা ১০০ তে উন্নীত করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি (প্রস্তাবিত ৫০০ শয্যা) কোভিড ডেডিকেটেড ঘোষণার এক বছরেরও বেশি সময় পর চলতি বছরের ৯ মে হাসপাতাল চত্ত¡রে অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হয়। ইউনিসেফের সহযোগিতায় এই ট্যাংক স্থাপন করে দেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতর থেকে নিয়মিত তরল (লিকুইড) অক্সিজেন সরবরাহ করার থাকলেও দুই মাসেও আসেনি কোনো সরবরাহ। সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়েই শুরু থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন হাসপাতালটির চিকিৎসকরা। তরল অক্সিজেন সরবরাহ পেতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত শনিবার রাতে তরল অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় হাসপাতালটিতে। জানতে চাইলে হাসপাতালটির চিকিৎসা তত্ত¡াবধায়ক উপপরিচালক ডা. আবুল বাসার বলেন, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সংযোগ থাকা জরুরি। হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ শয্যা আছে কিন্তু কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সেবা দেওয়া সম্ভব যাচ্ছিল না। গত রাতে ৪৯১২ লিটার তরল অক্সিজেন ট্যাংকে মজুদ করা হয়েছে। কারিগরি কাজ চলছে, রাতের মধ্যে আইসিইউ ও আইসোলেশ ইউনিটে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে স্থাপিত ট্যাংকের তিনভাগের এক ভাগ অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। এই অক্সিজেন সর্বোচ্চ তিনদিন চলবে। অক্সিজেন সরবরাহ নিয়মিত না হলে সেবা প্রদানকাজ কিছুটা ব্যাহত হবে। তবে সেক্ষেত্রে সিলিন্ডার অক্সিজেন বিকল্প হিসেবে রয়েছে বলে জানান ডা. আবুল বাসার।