গ্রেফতারের ২৭ দিন পর অবশেষে জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমণির জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে মাদক মামলায় পরীমণির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
জামিনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, জামিন পাওয়া একটা অধিকার। তবে আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত যেটা ভাল মনে করেছেন সেটাই আদেশ দিয়েছেন। এতে আমাদের কিছু করার নেই।
আপাতত পরীমণির মুক্তিতে কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করব যাতে আজকেই তাকে জেলহাজত থেকে মুক্ত করা যায়। অভিযোগপত্র হওয়ার আগ পর্যন্ত পরীমণি জামিনে থাকতে পারবেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতেই পরীমণির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। এত দিন পরে শুনানির দিন ধার্য করায় পরীমণির আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান। তারা দ্রুততম সময়ে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ জামিন শুনানির দিন এগিয়ে এনে ১৩ সেপ্টেম্বরের বদলে ৩১ আগস্ট (আজ) দিন ধার্য করেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এরপর ৩ দফায় মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট ২ দিন এবং ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। ১৩ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট থেকে আজ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পরীমণি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।