রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘রাজনীতিতে সইচ্ছায় কোনো রকমের স্বরচিত ইতিহাস বানানো যায় না। আজকাল অনেকেই স্বরচিত ইতিহাস বানাচ্ছেন। একে অপরের নামে কটু কথা বলছেন। সময় হলে স্বার্থের দরকার হলে ভালো কথা বলছেন। কারণ সামনে নির্বাচন।’
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউএনও শুকা সরকারের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাজ কিন্ত একটাই, আপনাদের কাছে যদি কোনো চাহিদা আসে সেই চাহিদা সরকারের কাছে পৌঁছে দেয়া। আমার কাজ হচ্ছে সংসদে বসে আইন পাস করা। আপনাদের কাজ হচ্ছে, অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করা। বন্দরে শান্তি স্থাপন করা। আপনাদের মধ্যে কোন প্রকার ঝগড়া-ঝাটি, বিদ্বেষ যেন না হয়। হয়তো আপনার সবাই পার হয়ে যাবেন। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনেক বড় তি হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। মেম্বার-চেয়ারম্যানদের নির্বাচন। জনগণ খুব ভালো বোঝেন, বিপদে কারা উপস্থিত ছিল, কারা পাশে ছিলেন? আজকে অনেকেই উজিয়ে (উত্তেজিত) যাচ্ছেন। ওনারা নির্বাচন করবেন। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কিন্তু গত পৌনে দুই বছর কোনো কাজ করতে পারেনি।’
সেলিম ওসমান বলেন, ‘পরশু দিন মঞ্চেই বুঝাচ্ছিলাম। নতুন একজন আজান দিলে তাকে শিখাইতে শিখাইতেই আমাদের সময় শেষ হয়ে যাবে। চেয়ারম্যান-মেম্বার হওয়ার পর মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে কখন আসসালামু আলাইকুম বলবে। কারণ চেয়ারম্যান সাব না! এই অহংকার কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে। আমার চেয়ারম্যানদের কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা আছে। বন্দরকে রা করার জন্য নারায়ণগঞ্জে দুইটা ইউনিয়ন আমার। আর বন্দরের সবগুলি মানুষ আমার।’
সাংসদ বলেন, ‘আমার সাথে যারা এতদিন কাজ করেছেন তাদেরকে আমি বললাম শত্রæ নাই। সেই সবচেয়ে ভালো মানুষ যে শত্রæর সাথে আলিঙ্গন করতে পারে। আমার জীবনটা কিন্তু শত্রæর সাথে আলিঙ্গন করে কাটিয়েছি। বন্দরে কোন শত্রæ থাকবে না। কেউ কারও শত্রæ হবে না। ভালো কাজ দেখান। যদি কোন মতবিরোধ থাকে আমরা বসবো। কাকে মেম্বার বানাবো, কাকে চেয়ারম্যান বানাবো আমরা খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিবো। সবার কাছে অনুরোধ করবো আমি থাকি আর না থাকি বন্দরে যেন কোনো রকমের হাহাকার সৃষ্টি না হয়।’
বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এমএ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী নাসরিন ওসমান। আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, নারী ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা ইসলাম শান্তা, বন্দর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তা শুকা সরকার, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, নাসিক ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ প্রমুখ।