শঙ্কাই সত্যি হলো। কানপুর টেস্টে প্রথম দিনের তিন ভাগের একভাগ খেলাই পণ্ড হয়েছে বৃষ্টির বাধায়। দিনের শুরুটাও হয়েছিল বাজেভাবে। মাঠ ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ে টস হয়নি। উইকেটের বাউন্স ও গতি পর্যবেক্ষণ করে কন্ডিশনের সর্বোচ্চটা ব্যবহার করতে টসে জিতেই ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যেটি প্রমাণে তার বোলাররা খুব বেশি সময় নেননি। আকাশ দীপ-রবিচন্দ্রনরা তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট, বিপরীতে মুমিনুল হকের লড়াকু ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১০৭ রান।
আগের রাত থেকেই কানপুরে বৃষ্টি। সকালে বৃষ্টি হয়নি। তবে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। আউটফিল্ড ছিল ভেজা। যে কারণে দেরিতে শুরু হয় খেলা, যা উপভোগ করতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গ্যালারিতে হাজির হন সমর্থকরা। ২০২১ সালের পর গ্রিন পার্কে টেস্ট ম্যাচ, ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহটা তাই একটু বেশি। কিন্তু খুব বেশি সময় খেলা দেখার সুযোগ তাদের হয়নি। বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায় প্রায় দুটি সেশন ভেস্তে গেছে। সারা দিনে খেলা হয়েছে ৩৫ ওভার। তাতেই দুই ওপেনার জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়েছে টিম বাংলাদেশ।
পেসবান্ধব কন্ডিশনের সহায়তা নিয়ে শুরু থেকেই আগ্রাসী বোলিং চালায় ভারত। দুই ওপেনার সাদমান ও জাকির ছিলেন অস্বস্তিতে। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি পেসার আকাশ দীপ। দলীয় ২৬ রানের মাথায় যশ্বসী জসওয়ালের ক্যাচ বানিয়ে জাকিরকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ২৪ বল খেলে কোনো রান না করেই অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ড গড়ে বিদায় নেন তিনি। এরপর সাদমানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আকাশের বলেই তিনি কাটা পড়েন। যদিও শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি, কিন্তু রিভিউ থেকে উইকেট আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। ৩৬ বলে চারটি চারের মারে সাদমানের ২৪ রানের ইনিংসটির অপমৃত্যু ঘটে।
২৯ রানে দুই ওপেনার বিদায় নেওয়ার পর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুমিনুল হক আর অধিনায়ক শান্ত। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫১ রানের জুটি গড়ে তুলেন। তাদের ওই জুটি দেখাচ্ছিল ভালো কিছুর আশা। কিন্তু বাদ সাধেন বর্ষীয়ান অফস্পিনার রবিচন্দ্রন। ছয়টি চারের মারে ৫৭ বলে ৩১ রান করা শান্তকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে আর কোনো বিপদ হতে দেননি মুমিনুল। মুখোমুখি হওয়া ৮১ বলের সাতটিকে বাউন্ডারিতে পরিণত করা বাঁহাতি ব্যাটার ৪০ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন, ৬ রান নিয়ে তার সঙ্গী হবেন মুশফিক।