বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ ঘাটে ফেরী চলাচল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই পথে যাতায়াত করে। দীর্ঘ সময় ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে দুই পাড়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ফেরী চলাচল শুরু হলে দীর্ঘসময় ধরে ভোগান্তিতে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা কমে আসে। ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর যানবাহন পারাপার শুরু হয়েছে ব্যস্ততম এ নৌরুটে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভেঙ্গে পড়া বেইলি ব্রিজ মেরামতের কার্যক্রম সম্পন্ন করে ফেরীর ইজারদার কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকে পুনরায় চালু হয় ফেরী। এর আগে ২৪ নভেম্বর হাজীগঞ্জ ঘাটে পণ্য বোঝাইকৃত ট্রাক ব্রিজে উঠলে হঠাৎ বিকট শব্দ করে ব্রিজটি হেলে ট্রাক সহ অনেকাংশ ডুবে যায়। এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ায় বন্ধ হয়ে পড়ে ফেরী চলাচল।
ফেরি চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দুইপাড়ের বাসিন্ধারা। ফতুল্লার বাসিন্ধা সোহাগ মোটরসাইকেল আরোহী। তিনি বলেন, চাকরির কারণে আমার নিয়মিত বন্দরে যাওয়া আসা করতে হয়। গত কয়েকদিন নৌকা দিয়ে বাইক পাড় করেছি। খরচ হয়েছে অনেক। সেতু দিয়ে দিয়ে গেলে আমার প্রায় ঘন্টাখানেক সময় অতিরিক্ত চালাতে হয়। এতে কষ্ট হয় দ্বিগুন। ফেরী চালু হওয়ায় আমার যাতায়াতের কষ্ট কমছে।
বন্দরের সবজি ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি দিগুবাবুর বাজার থেকে সবজি এনে বন্দর বাজারে বিক্রি করি। ফেরি চালু থাকলে সবজির আনা নেওয়ায় খরচ হয় কম। এই কয়দিন নৌকা দিয়ে নিয়ে গেছি। খরচ হইছে বেশি। জিনিসের দাম তো আর বাড়াইতে পারি নাই। লোকসান হইছে। ফেরি চালু হওনে আমাগো সুবিধা হইছে।
নবীগঞ্জ-হাজীগঞ্জ ফেরীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ত্বত্তাবধায়ক সাইফুল হোসেন রিয়েল ফেরী চালু হওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, সোমবার ব্রিজ ঠিক করার পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেরি চালু হয়েছে। ব্রিজ ঠিক মেরামত করতে সময়ের প্রয়োজন হয়। দক্ষ জনবল ও মেশিনের দরকার হয়। এ কারণে ব্রিজ ঠিক করতে ৫ দিন সময় লেগেছে।
মানুষের এই কয়দিন যাতায়াতে অনেক সমস্যা হইছে। অনেক যানবাহন ঘাটে এসে ফিরে গেছে। কিন্তু আজকে সকাল থেকে আবার সব স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াত শুরু হয়েছে।