২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল যে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে হবে।কিন্তু আমি তাদের স্পষ্টভাবে বলেছিলাম যে বাংলাদেশের জনগণ এই গ্যাসের মালিক। তাই যখন আমার দেশের প্রয়োজন মিটবে, দেশের উন্নয়ন হবে, ৫০ বছরের গ্যাসের মজুদ নিশ্চিত হবে তখনই আমি বাড়তি গ্যাস বিক্রি করব।’
প্রধানমন্ত্রী বুধবার তার কার্যালয়ের শাপলা হলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি এবং আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি মার্কিন জ্বালানি মন্ত্রীকে গ্যাসের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে বাংলাদেশের গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমার দোষ ছিল যে আমি আমার দেশের সম্পদ রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। সে কারণেই আমাকে ক্ষমতা গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হয়। আমি যে কোনোভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী হতে চাইনি।’তিনি আরও বলেন, তিনি জনগণের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চান না।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সেই ব্যক্তি যিনি সামরিক স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন, আন্দোলন করেছেন, জেল-জুলুম, বোমা, গ্রেনেড হামলা ইত্যাদি করেছেন। ‘আমি গণতন্ত্র রক্ষা করতে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছি বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’
২০০৯ সাল থেকে দেশে যে পরিবর্তন এসেছে তা দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) জন্য কান্নাকাটি করে লাভ নেই।
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলাদেশে কি বিএনপির একজন যোগ্য নেতা নেই যাকে তারা দলের চেয়ারম্যান করতে পারে।’
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল, যেটি গণমানুষের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর জন্মস্থান কোথায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি দুই দলই সামরিক স্বৈরশাসকদের দ্বারা অভ্যুত্থান ও সামরিক আইনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।