এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু যেখানে আমরা আছি সেখানে এই স্লোগান দিয়ে অনেকে আওয়ামী লীগ করতেন। ৭৫’র সেই অবস্থানটা আমরা পর্যবেক্ষন করছি। আজকে অনেকে আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন। অনেকেই আওয়ামী লীগ করেন। অনেকেই ছবি লাগিয়ে, হাইব্রিড নেতা বানিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন ওমুকে ওমুক নেতা। চিনতে হবে কে আওয়ামী লীগ করে, কাদের অবধান রয়েছে। কারা সত্যিকারের আওয়ামী লীগ।
৭৫’র এ আমার মত নেতারা রাস্তায় নেমে ছিলেন। অনেক নেতারাই সেদিন রাস্তায় নামেন নাই। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামলী লীগের জন্ম। ৭৫’র পর আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল না বের হতো তাহলে এই নারায়ণগঞ্জে একটি কলঙ্ক অধ্যায় রচিত হতো। বাংলাদেশে কোথাও মিছিল হয় নাই। নারায়ণগঞ্জেই সর্ব প্রথম মিছিল বের করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর বিচার চেয়ে।
আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি ও মুক্তিযোদ্ধারা যারা আছেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে। কারা সত্যিকারের আওয়ামী লীগ কারা সত্যি কারের মুক্তিযোদ্ধা। আনোয়ার হোসেনের সাইনবোর্ড লাগালেই ওমুক নেতা আপনারা মানবেন না। হাইব্রিড সারা বাংলাদেশে ভরে গেছে। তারা আজকে আমাদের চেয়ে বেশি আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে। আজকে আমাদের সঠিক আওয়ামী লীগারদের চিহ্নিত করতে হবে। এটা আমাদের যেমন দায়িত্ব এটা আপনাদেরও তেমন দায়িত্ব।
শনিবার (৫ মার্চে) বিকালে জেলা পরিষদের প্রাঙ্গনে স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ভিতরে থেকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করতে চায়। যারা সত্যিকারে আওয়ামী লীগরক কোনঠাসা করতে চায় তাদের চিহ্নিত করে আমাদের পথ চলতে হবে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে।
১৯৮০ সালে ১৯৮১ সালে যারা আওয়ামী লীগ তারাও বলে তারা ৭৫’র কর্মী। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে রাজনীতি করেছি। আমরাদের আসল নকল চিনতে হবে, তা না হলে আবার ৭৫’র মত ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা তা কামনা করি না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এই দেশ এগিয়ে নেয়ার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
জেলা পরিষদের চেয়াম্যান আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। এসময় স্বাধীন্তার সুবর্ণ জয়ন্তীর স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুর রহমান ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের সাংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বেপারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. নুরুল হুদা সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভূঁইয়া জুলহাস, বেগম রোকেয়া পদপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার প্রমুখ।