স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি রাতের আঁধারে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেয়ার ঘটনা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারনায় ব্যবহৃত মাইক ভাংচুরকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী পরিবেশ এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা একে অন্যের পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগও তুলেছেন। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের এনে হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনেছেন।
সোনারগাঁয়ে এই ইউনিয়নটি সবার কাছে আতংকের জনপদ হিসেবে পরিচিত। এখানে পূর্বেও একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে শংকায় আছেন ইউনিয়নবাসী।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট চারজন প্রার্থী। তবে তিনজনই হেভিওয়েট প্রার্থী, তাই এই তিনজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারনা করছেন ভোটাররা।
উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আল-আমিন সরকারের বিপরীতে সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন সরকার (আনারস) ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ (ঘোড়া) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন মো. ইয়াছিন।
আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হবে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। বিগত ২৮ নভেম্বর এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও মামলা জটিলতার কারণে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে তখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিভাজনের কারণে এখানে নৌকার ভরাডুবি হলেও এবার উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নৌকাকে জয়ী করতে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না জানান, সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ৯টি কেন্দ্রে ৫জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষনিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।