রুদ্রবার্তা২৪.নেট: সোনারগাঁওয়ের বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপরে হামলায় গৃহবধু হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিােভ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগষ্ট) সকালে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন ও বিােভ কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে ওই এলাকার কয়েক হাজার নারী পুরুষ অংশ নেন। এসময় আসামীদের গ্রেফতারের জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম, গৃহবধুর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, মেয়ে শারমিন আক্তার ও ছেলে জাহিদ হাসান।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমানের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে হাবিবুর রহমানের একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এ বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এনিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিচার সালিস ডাকা হয়। বিচার সালিশ অমান্য করে হাবিবুর রহমান সালিশে উপস্থিত হননি।
গত বুধবারও এ জমির বিরোধ মিমাংসায় বিচার সালিশের আয়োজন করা হয়। এ সালিসেও হাবিবুর রহমান উপস্থিত না হয়ে দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা, বল্লম, লোহার রড, হকিস্টিক, রামদা, ছেনদা ও লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে।
এতে বাঁধা দেওয়ায় হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জিয়া, জামিল হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, মনির হোসেন, রাব্বী, ফারুকসহ ১০-১৫জনের একটি দল সাদেকুর রহমানের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় টেঁটাবিদ্ধ, রামদা ও হকিস্টিকের আঘাতে হয়ে মো. মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শাহিদা বেগম, হামিদা, শারমিন, রেজাউল ও শাকিল আহত হয়।
আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে শাহিদা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরদিন শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিহত নারীর ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে আলগীরচর সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ এখন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকার নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও বিােভ কর্মসূচী পালন করা হয়।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। দু’জনেকেই একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তাদের দু’একদিনের মধ্যে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।