স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শিল্পনগরী কাঁচপুরে ইকবাল যেন এক আতঙ্কের নাম, তার কাছে জিম্মি এলাকার অসহায় জনগন ও পোশাক কারখানার শ্রমিক গন,।
গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে ইকবাল গ্রুপের অত্যাচারের কাছে হার মেনে যাচ্ছে যেন এক কলেজ শিক্ষার্থী ফয়সাল (২৩)।
সরোজমিনে গিয়ে জানাযায় মঙ্গলবার রাতে কাচঁপুরের সোনাপুর এলাকায় বাবার মোবাইল ফোনে টাকা উঠানোর জন্য ফ্লাক্সিলোড এর দোকানে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দোকানে পৌঁছানোর আগেই ইকবাল বাহিনীর তান্ডবের শিখন হল কলেজ পড়ুয়া ফয়সাল। এসময় ইকবাল বাহিনীর হাতে থাকা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ফয়সাল। কয়েকজন পথচারী তার মারামারির শব্দ শুনে এগিয়ে আসলে ইকবাল সহ অজ্ঞাত কয়েকজন পালিয়ে যায়।
ফয়সালকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়,চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনারগাঁও থানায় ইকবাল সহ অজ্ঞাত কয়েকজন কে আসামী করে ফয়সালের পিতা মোঃ নজরুল ইসলাম একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ সময় জানা যায় ইকবাল একই এলাকার মোঃ হারুন মিয়ার ছেলে,তার নামে সোনারগাঁ থানায় একাদিক মামলা রয়েছে।
সে কাচঁপুরের শিল্পনগরী এলাকায় ইকবাল গ্রুপ নামের এক গ্যাং পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক পোশাক কারখানার শ্রমিক বলেন এই ইকবাল গার্মেন্টসের বেতন হওয়ার পর শ্রমিকদের কে আটকিয়ে তাদের কাছথেকে টাকাপয়শা মোবাইলফোন সহ সাথে থাকা সকল কিছু রেখেদিয়ে সর্বস্বান্ত করে ।
তার থেকে পরিত্রান পেতে এলাকাবাসী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আইন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং কয়েকজন বলেন কেউ যদি তার বিপক্ষে কথা বলে তবে রাতের আধারে এসে ঘরে তাদেরকে মারধর করেন ইকবাল।
তাদের সাথে একতাবদ্ধ হয়ে আহত কলেজ শিক্ষার্থী ফয়সাল এর পিতা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ নারায়ণগঞ্জের আইন প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি যাতে করে আমার ছেলের মত অন্য কোন পিতা-মাতার সন্তানের উপর এই ইকবাল বাহিনি অত্যাচার করতে না পারে।