নারায়ণগঞ্জ নগর খানপুর এলাকায় আপন ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আবুল বাশার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । অভিযোগকারী আঃরাকিব (৩৬) জানান তার বড় ভাই মোঃ আবুল বাশার (জনি) ও তার স্ত্রী মুনা বেগম তাকে বেদম মারধর করেছেন।
গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাকিব অভিযোগ করেন তার পিতা মারা যাওয়ার পর পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। পিতার মৃত্যুপূর্বক সম্পত্তি বন্টনের বিষয়ে সবাই মৌখিকভাবে সম্মত হলেও বড় ভাই আবুল বাশার একাই সম্পত্তি ভোগ করতে চেয়েছেন। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক মিমাংশার চেষ্টা করা হলেও সফল হয়নি এলাকাবাসীর গণ্যমান্যরা।
পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একটি আপোষ বন্টন নামা দলিল সম্পাদন করা হয়। দলিলে সবাই স্বাক্ষর করলেও আবুল বাশার স্বাক্ষর করতে রাজি হয়নি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর আবারও দলিলে স্বাক্ষর করার কথা বললে আবুল বাশার তার স্ত্রী মুনাকে একটি লাঠি আনতে বলেন। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা রাকিবকে মাটিতে শুইয়ে বুকে পারা দিয়ে বেদরম মারধর করেন।
রাকিব অভিযোগের পর খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এতে ডাক্তারি রিপোর্টে জানা যায় বুকের হাড় সহ চোখের মারাত্মক ভাবে জখম হয়।
বিচার পেতে তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ সময় রাকিব অভিযোগে জানান তার আপন ভাই আবুল বাশার তার স্ত্রী মুনা বেগম ও তাদের সঙ্গীয় ফোর্স বাপন পোদ্দার তার বড় বোনকে পৈত্রিক সম্পতি থেকে বঞ্চিত করতে মানসিক টর্চার সহ বুকে পারা দিয়ে বেদরম মেরে রক্তাক্ত ভাবে জখম করে। এক্ষেত্রে তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
এলাকাবাসী জানান সাহাবুলের মেয়ে মুনা বেগম আবুল বাশারের স্ত্রী হয়ে আসার পর থেকেই তাদের সংসারে নামে অন্ধকারের কালো মেঘ। বাপন পোদ্দারের কুচক্রী বুদ্ধিতে ও মুনার সম্পতির লোভে ছোট ভাইয়ের উপর চালায় অমানবিক নির্যাতন। এলাকার গণ্যমান্যরা বসেও করতে পারেনি সুরাহা