চরিত্রের গভীরে ঢুকে যাওয়াকে বলা হয় ‘মেথড অ্যাক্টিং’। এটি ফিল্মের পরিভাষা। এর মূলমন্ত্রই হলো চরিত্রের সঙ্গে একাত্মবোধ করা। সম্প্রতি জনের অ্যাকশন সিনেমা ‘সত্যমেব জয়তে ২’ পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি বক্স অফিসে তেমন সাড়া না তুললেও জনের অ্যাকশন এবং পর্দায় এইট প্যাক উপস্থিতি ভক্তদের মনে ধরেছে। বিপাশার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে জনের আবেগপ্রবণ অভিনয়ও মন ছুঁয়েছিল দর্শকদের। ছবিতে জনের ‘মেথড অ্যাক্টিং’ পুরোপুরি ফুটে উঠেছে।
এ জনই আবার এক অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের অভিনয় করতে গিয়ে একটু বেশিই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন জন। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন এই অভিনেতা। আর আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হন সেই অভিনেত্রী। ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালে, ‘শুট আউট অ্যাট ওয়াডালা’ সিনেমার শুটিংয়ে। জনের বিপরীতে এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, এই সিনেমার বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল জন-কঙ্গনার। তার মধ্যে দুটি বেশ নিবিড় মুহূর্তের। একটি আবেগপ্রবণ চুম্বনের দৃশ্য, অন্যটি শয্যাদৃশ্য। জন-কঙ্গনার সেদিনের শুটিংয়ে উপস্থিত একজনকে উদ্ধৃত করে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় আবেগতাড়িত হয়ে কঙ্গনাকে আঘাত করে ফেলেছিলেন জন।
সাধারণত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা দাবি করেন, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া বা বন্ধুত্ব না থাকলে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের সময় অস্বস্তি বোধ করেন দুপক্ষই। যদিও জন আর কঙ্গনার চুম্বনের দৃশ্যের শুটিংয়ে তেমন সমস্যা হয়নি। সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে ওই প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, এর আগেও একটি ছোটখাটো চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন দুজন। কিন্তু গোলমাল বাধে শয্যাদৃশ্যে অভিনয়ের সময়।
সিনেমায় জনের চরিত্রটি ছিল একজন ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনে’র। কঙ্গনার সঙ্গে তার শয্যাদৃশ্যটি একটা সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে অভিনেত্রীকে তিনি আদর করছেন নাকি যৌন হেনস্তা করছেন বোঝা যাচ্ছিল না! এমনটাই জানিয়েছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।
শয্যাদৃশ্যের গল্পটি ছিল কিছুটা এ রকম- কঙ্গনা এবং জনের চরিত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মাঝপথে কঙ্গনাকে থামিয়ে তাকে আদর করতে শুরু করেন জন। কিন্তু বাস্তবে জন এই পর্যায়ে কঙ্গনার হাত এতটাই জোরে চেপে ধরেন যে অভিনেতার হাতের চাপে নায়িকার চুড়ি ভেঙে যায়। তার হাত কেটে রক্ত পড়তে শুরু করে।