সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমি কর্মকর্তার ঘুষ বানিজ্য ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ, তদন্ত করে ব্যবস্থা: অতিরিক্ত সচিব

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ১১.০৭ এএম
  • ০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : টাকা দিলে সব কিছুই করা সম্ভব সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের পক্ষে। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই ঘুষ বাণিজ্য ও অবৈধ সম্পদের পাহাড় করেছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের রয়েছে একটি দালাল চক্র।
তার ঘুষ বাণিজ্য ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হাবিবুর রহমানের ঘুষ বাণিজ্যে ও হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ এর ভূমিপল্লী এলাকায় ৩ নং রোড ১৩ নাম্বার ১০ তলা ভবনেই তিনটি আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে। যার বাজার মূল্য তিন থেকে চার কোটি টাকা। শুধু তাই নয় নামে-বেনামে করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। নাম জারি করতে আসা মানুষের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আদায় করছে ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। টাকা না দিলে নামজারি না মঞ্জুর ও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জের একজন সিনিয়র আইনজীবী বলেন, আমি একটি নামজারি করতে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান আমার কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করে। অথচ একটি নামজারি করতে সর্বমোট ১১০০ টাকা লাগে।

ইমরান হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী জানায়, আমি ওয়ারিশ সূত্রে ৩ শতাংশের জায়গা নামজারি করতে গেলে বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করছে সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান । পরে হাবিবুর রহমান আমার কাছ থেকে ৫০০০ টাকা নিয়ে এসিল্যান্ড অফিসে প্রস্তাব পাঠায়। হাবিবুর রহমান আমাকে বলেন এসিল্যান্ড অফিস থেকে তোমার নামজারির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
নামজারি দেওয়া না দেওয়া তাদের ব্যাপার। এক মাস ধরে ঘুরাঘুরি করেও আমার নামজারিটা এখনো পাইনি। নামজারি করাতে হলে এসিল্যান্ড অফিস থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাই হয়রানীর ভয়ে আমি দশ হাজার টাকা দেবো বলেছি।

আনোয়ার হোসেন নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, নামজারির জন্য অনেক আগে আবেদন করেছি কিন্তু আমার নামজারিটা দিচ্ছে না সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। মাসের পর মাস নামজারির জন্য ভূমি অফিসে আসা-যাওয়া করছি কোন ফল পাচ্ছি না।

এই হয়রানি থেকে রেহাই পেতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উক্ত বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কোন ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জড়িত নই, ভূমি পল্লীতে আপনার ফ্ল্যাট আছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

উক্ত বিষয় জানতে মুঠোফোনে ভূমি মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকারি ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের বিষয় গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তদন্ত কমিটি করে যদি সে দোষী প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort