সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাড়িতে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি পূর্মুবপাড়া মুড়ি ফ্যাক্টরির গলি জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হয়ে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কাঁচপুর ও ইপিজেড, ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষ্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলে- দিনমজুর তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫) ও তাদের দুই সন্তান তিশা আক্তার (১৭) ও আরাফাত (১৫) এবং দিনমজুর হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২) ও তাদের তিন সন্তান ইমাম উদ্দিন (১ মাস), জান্নাত (৪) এবং মুনতাহা (১১)। তাদের উদ্ধার ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার বলেন- ৯ জন দগ্ধ রোগীকে ভোরে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে হাসানের শরীরের ৪৪ শতাংশ, সালমার ৪৮ শতাংশ, আসমার ৪৮ শতাংশ, তিশার ৫৩ শতাংশ, জান্নাতের ৪০ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ এবং এক মাস বয়সি ইমামের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে তানজিল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রকিবুল জানান, তার ভাই ও ভায়রা ভাই দিনমজুরের কাজ করতেন। তারা সিদ্ধিরগঞ্জের একটি আধা সেমিপাকা ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতেন। রাতে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ হন। পরে তাদের দ্রুত হাসপাতালে আনা হয়। সবার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মামুন বলেন, অগ্নিদগ্ধ হাসানের শ্বশুর আব্দুর রশিদ এই বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতো। কিছুদিন আগে রশিদ মারা যান। তার তিন মেয়ে, জামাই ও নাতি নাতনি তিনটি কক্ষে ভাড়া থাকতো। এর মধ্য দুটি কক্ষের সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম বলেন, ঘটনা তদন্ত না করে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না কীভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিরন মিয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্রিজটি পরীক্ষা করেছি। দেখা যায়, ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ফলে ফেটে গেছে। ওই বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এতে পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ হন।