কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের চলন্ত বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতির সময় গণধর্ষণের ঘটনা যখন তুমুল আলোচনার কেন্দ্রবৃন্দুতে। তখন নারায়ণগঞ্জে চালক-হেলপারকে জিম্মি করে চলন্ত বাসে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। এ সময় এক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে যাত্রীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোর ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।
ডাকাতির অভিযোগে গণধোলাই দেওয়া ৩৩ বছর বয়সী নেছার উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িগঙ্গা স্পেশাল পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৩৫৮১) ভোর ৪টায় ফতুল্লা সাইনবোর্ড এসে পৌঁছায় বলে জানান যাত্রীরা। যাত্রী নামানোর সময় নেছার উদ্দিনসহ ৩ যুবক বাসে উঠে পরে। কিছু দূর গেলেই চালক ও হেলপারের গলায় ছুরি ধরে কেড়ে নেয় তাদের টাকা পয়সা। টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীদের সহায়তায় একজনকে আটক করতে সঙ্গম হয়।
বুড়িগঙ্গা স্পেশাল পরিবহনের মালিক ও জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, প্রায় সময় সাইনবোর্ড, কাচঁপুর, রুপসি, গাউছিয়া এলাকাগুলোতে যাত্রী নামার সময় কিংবা বক্স থেকে মাল নামানোর সময় এই ডাকাতরা বাসে উঠে। পরে চালক ও হেলপারের গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে নেয়। গত ২৫ জুলাই সাইনবোর্ডে আমাদের একটি গাড়িতে ২২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। পরশু রাতে আরও এক বাস থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আজকেও সাইনবোর্ড থেকে টাকা নেয়ার জন্য গাড়িতে উঠে ৩ যুবক। পরে ডাকাতের সাথে থাকা ২জন পালিয়ে যায়। এবং আটককৃত ডাকাতও পারাতে চায়। লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার করলে, স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়। এরপর তাকে চাষাঢ়া এলাকায় নিয়ে আসা হয়। পথিমধ্যে গাড়ির স্টাফ ও যাত্রীরা মারধর করে। এই ঘটনায় আমরা সংশ্লীষ্ট আইনে মামলা করবো।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদ হাসান জুয়েল বলেন, আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি। বেশী মারার ফলে অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক। খানপুর ৩০০শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় ডাকাতীর অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুস্থ হলে তাকে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।