ফতুল্লায় সাংবাদিক পরিচয় বহন করে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের নিকট থেকে মাদক ব্যবসায়ী কে ছাড়িয়ে আনেত গিয়ে স্বামী-স্ত্রী নিজেরাই ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক হয়েছেন। পরে তাদের কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রামমান আদালত।
আটককৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মোঃ ওকলে উদ্দিনের পুত্র জোহা মিয়া (৫০) তার স্ত্রী শামীমা খানম সনিয়া (৩১) ও একই থানার আলীগঞ্জ এলাকার তারা মিয়ার পুত্র মোঃ আরমান (৪০)। বুধবার দুপুরে তাদের কে আলীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
আটকের পর অনৈতিক সুবিধা আদায়ে শামীমা খানম সোনিয়া ও জোহা মিয়া নিজেদের কে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তারা কোন পরিচয় দেখাতে পারেনি বলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়।
জানা যায়, জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযান পরিচালনা করে আরমান,শামীমা খানম সোনিয়া ও তার স্বামী জোহা কে আটক করে।
পরে ইয়াবা বহন ও সেবনের দায়ে নারায়নগঞ্জের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিন মিয়া শামীমা খানম সোনিয়া ও তার স্বামী জোহা কে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন একই সাথে গাজাঁ সেবনের দায়ে আটককৃত আরমান কে ১০ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন।
বিষয়টি স্বীকার করে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দরিদর্শক ফজলুল হক জানান, সকালে আরমান নামের এক যুবক কে গাঁজা খাওয়ার সরঞ্জাম সহ আটক করে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরে তাকে নিয়ে আয়নু নামের শির্ষস্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শামীমা ও তার স্বামী জোহা।
তারা নিজেদের কে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আটককৃত আরমান কে ছাড়িয়ে নিতে চায় এবং আয়নু কে গ্রেপ্তারে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে তারা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরপর কর্মকর্তাদের উপর চড়াও হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের আটক করে ফেলে।
পরে শামীমার সাথে থাকা ব্যক্তিগত ব্যাগ তল্লাশি করে ১০ পিছ ও তার স্বামী জোহার মানিব্যাগ তল্লাশি করে ১০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, আটকের পর তারা স্বীকার করে যে,সাংবাদিক পরিচয় বহন করে ফতুল্লার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে নগদ অর্থের সুবিধা গ্রহন করে। তারা সাংবাদিক পরিচয় দিলেও কোন পরিচয় পত্র দেখাতে পারেনি।