রুদ্রবার্তা২৪.নেট: গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে তেল, ডাল, চিনি দাম। তবে চাউলের দাম আগে থেকেই উর্ধ্বগতি। এদিকে আয়ের তুলনায় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদি ও গত সপ্তাহে কাঁচামরিচের দাম কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে শাকসবজির দাম।
তবে আমদানী বেশী হওয়ায় মাছের দাম হাতের নাগালে রয়েছে। নগরীর দিগুবাবুর বাজার ও কালিবাজারে ঘুরে দেখাগেছে প্রতি কেজি রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ও দেশীয় চিংড়ি ৭০০ টাকায়, রুপচান্দা মাঝারি সাইজ ৬০০ টাকা,পাঙ্কাস ১২০-১৩০ টাকা,শিং ৪০০ টাকা, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বোয়াল মাছ মানবেধে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা,এছাড়া ও ইলিশ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে বয়লার মুরগীর দাম আগের দামে রয়েছে। প্রতি কেজি বয়লার মুরগী ১২৫ টাকা,লাল লেয়ার ২২০ থেকে ২২৫ টাকা, তবে মুরগীর দাম না বাড়লেও ডিমের দাম বেড়েছে। একহালি দিমের দাম ৩২ টাকা, দেশী মুরগীর ডিমের হালি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। এছাড়া ও হাঁসের ডিম ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এরই মধ্যে খুচরা ও পাইকারি বাজার গুলোতে ঘুরে দেখাগেছে গত সপ্তাহ থেকে চলতি সপ্তাহে চাউলের দাম প্রতি কেজি পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বাজারে বাসমতি চাউল কেজি ৬৫ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৫৮ টাকা নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও পোটল ৩০ টাকা, ডেরশ ৩৫ টাকা, কহি ২০ টাকা,লতি ২০ টাকা, পেপে ২৫ টাকা,পুইশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাচা মরিচের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশী।
সব মিলিয়ে আজ কাঁচা বাজার গুলোতে ঘুরে দেখাগেছে বেশীর ভাগ সবজির প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দিগু বাজারের রহিম শেখ জানান, বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও তেলের দাম বেড়েছে। পেকেট তেল এক কেজি ১৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা ও পাম সুপার ১৩০ টাকা ধরে বিক্রি করতে দেখাযায়।
কালিবাজারের এক ক্রেতা জানান, সবজিসহ কিছু কিছু জিনিসের দাম কম থাকলে ও তেল, ডাল, চিনির দাম নাগালের বাহিরে থাকায় মানুষের ক্রয় সীমা অতিক্রম করছে। তাই নিত্য পন্যর দাম মানুষের হাতের নাগালে আনার জন্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।