রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ নগরীতে হত্যা, গুম, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদী ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে হত্যাচেষ্টার ২৩তম বার্ষিকীতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, ১৪ দলীয় জোটের শরিক আওয়ামী লীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, খেলাঘর আসরের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, হোসিয়ারি সমিতির পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গোলক, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা গোলাম মোস্তফা সাচ্, মাইনুদ্দীন বারী, ছাত্র মৈত্রীর জেলা কমিটির সভাপতি জেসমিন আক্তার প্রমুখ।
ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, ১৯৯২ সালের ১৭ আগস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির তোপখানা কার্যালয়ের সামনে রাশেদ খান মেননকে হত্যার জন্য গুলি করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর এই দিনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ উপলক্ষে ‘সন্ত্রাস, রাজনৈতিক হত্যা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের রাজনীতি’ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালিত হয়।
বক্তারা বলেন, পুরো আগস্ট মাসই একটা আতঙ্কের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে ঘাতকের দল। ’৯২ সালে প্রগতিশীল, সমাজ পরিবর্তনের লড়াকু সৈনিক রাশেদ খান মেননকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা ফাটিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সারাদেশব্যাপী হত্যা, গুম, বিচারহীনতার প্রতিবাদে আমরা প্রতি বছর সন্ত্রাস বিরোধী দিবস হিসেবে কর্মসূচি পালন করে আসছি। বিচারহীনতার প্রতিবাদে প্রতিটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবেন বলে আশা করি। দলীয় মত, সংকীর্ণতার উর্ধ্বে এসে সমাজকে সুষ্ঠু ধারায় নিতে হলে সকলকে সমন্বিত হতে হবে
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে এখনও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কাজ করছে। প্রগতিশীল শক্তি ঐক্যে পৌঁছাতে না পারলে তার খেসারত দিতে হবে। অসা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।