বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের কেউ ঘরে বসে নেই, শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটের মাঠে।
৮ মে প্রথম দফার ৬ ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে আছেন ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। পথসভা শেষ করে, গণসংযোগ লিফলেট বিতরণসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। বন্দর উপজেলার পাড়া-মহল্লা ও গ্রামের পথে পথে ঝুলছে নির্বাচনী পোস্টার।
দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ রশিদ ও মুছাপুর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মাকসুদ হোসেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মো.মাকসুদ হোসেন বলেন, এ নির্বাচনে জনগণ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিবে, জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। পছন্দের প্রার্থী কে ভোট দিলে এ উপজেলা নির্বাচনে আমার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে জনগণ আমাকে ভোট দিবে এবং আমি জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। এবার যেহেতু নির্বাচনটি উন্মুক্ত সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন মানুষের আশা।
এদিকে তফশিল ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থীরা তার সমর্থক নেতাকর্মীরা ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ, পথসভা ও ঘরোয়া বৈঠক করছেন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। নির্বাচনে তিন পদে ১০ জন প্রার্থী থাকলেও চেয়ারম্যান পদের মুলত তিন প্রার্থীকে নিয়ে চলছে সরগরম আলোচনা। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদ দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছে। তার অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন: মাকসুদ হোসেন আনারস ও আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি মাছ।
৫ টি ইউনিয়নের বন্দর উপজেলার প্রায় ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৬৪ ভোটার এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ৫০০ জন, নারী ভোটার ৬৪ হাজার ৬২ জন, হিজলা ভোটার ২ জন।