মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

শীতলক্ষ্যার তীরে উচ্ছেদ অভিযানে বাধাঁ, অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩, ৪.১৮ এএম
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের ময়মনসিংহ পট্টি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা দিয়েছে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী। ওই সময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধ শ্লোগানে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জমির কাগজপত্র দেখার পরে আলোচনা সাপেক্ষে ভাঙ্গা হবে বলে আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্দরা শান্ত হয়।

পরে একরামপুর ইস্পাহানী এলাকায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডবি¬উটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় একটি এক্সাভেটর (ভেকু) দিয়ে অনুমোদনহীন কয়েকটি ডকইয়ার্ডের দখলকৃত স্থাপনা, ৯টি পাকা ঘর, ১০টি সেমিপাকা ঘর, ২০টি টিনশেড ঘর, টং ঘরসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনাভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়।

 

বুধবার (১০ মে) বিআইডবি¬উটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযানটি পরিচালিত হয়। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডবি¬উটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল আলম, উপ পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান, উপ পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেন সহ বিআইডবি-উটিএ’র হিসাব বিভাগ, নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

অভিযানকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মারুফ জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ীশীতলক্ষ্যার উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের ময়মনসিংহপট্টি এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

 

এসময় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। তারা দাবি করেন এসব জায়গা তারা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ক্রয় করেছেন। জমির মালিকদের কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে ওই এলাকায় অভিযান চালানোর আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হয়ে চলে যান।

পরে একরামপুর ইস্পাহানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকা ও সেমিপাকা স্থাপনাসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার প্রথমদিনের অভিযানে রূপালী, আমিন ও ময়মনসিংহপট্টি এলাকায়শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল।

এসময় নদীর তীর বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করায় দুই ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের লক্ষণখোলা, আমিরাবাদ, নোয়াদ্দা, কাইতাখালী ও নবীগঞ্জে নদীর জায়গা দখল করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান নদীর বিশাল জায়গা দখল করে কারখানা স্থাপন করেছে। সে জায়গা দখলমুক্ত না করেই ওয়াকওয়ে নির্মাণ করছে বিআইডবি¬উটিএ কর্তৃপক্ষ। নির্মাণ কাজও মানসম্মত হচ্ছেনা বলে এলাকাবাসী জানান।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort