বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমরা বলেছি শান্তিতে বিদায় নিয়ে চলে যান। আপনারা ক্ষমতা হস্তান্তর করুন একটি নিরপেক্ষ সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। আমরা এ অলিখিত বাকশালকে দূর করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। সরকার মনে করে আমরা সরকার বিরোধী। আমরা সরকার বিরোধী নই, সরকারের অপকর্মের বিরোধী। সরকার অত্যাচার জুলুম করছে তাই আমরা সরকারের পদত্যাগ চাই।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল সড়ক এলাকায়, বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিশাল পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ আজ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। এ সরকার ভুয়া ভোটের সরকার। তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা সংসদের মাধ্যমে এমন একটি সরকার গঠন করেছে যাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। এ পরিস্থিতি চলতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আগামীতে আমরা বাংলাদেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও রাজনীতিতে দেখতে চাই। তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আমরা জনগণের সরকার গঠন করবো।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম রবি, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান রোজেল, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান প্রমুখ।