সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন

রূপগঞ্জে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চির মৃত্যু

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩, ৪.১৭ এএম
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংর্ঘষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ রেস্তোঁরার বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদার মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরন করেন।

 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত বিল্লাল হোসেন বরিশালের জেলার মুলাদী থানার হাকিম হাওলাদারের ছেলে ।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিল্লাল হাওলাদার কোমড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে বিল্লাল হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গত বুধবার তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহান সহ ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আবু সুফিয়ানের নাম সোহান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে , গত মঙ্গলবার বিকেলে বরপা এলাকায় রিফাত নামে এক তরুনের মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে। পরে রিফাত ওই মাইক্রোবাস চালককে মারধর করেন।

 

তারাব পৌরসভা যুবলীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয় সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ প্রিন্স হোটেলে বসে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। সেই বৈঠকে রিফাতের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান সোহান রিফাতের পক্ষে অংশ নেয়। বৈঠকে বায়েজিদের সাথে রিফাতের তর্কবিতর্ক হয়।

তকের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। মারামারিতে তাদের অনুসারীরাও যুক্ত হয়। হোটেলটি ভাঙচুর করা হয়। এসময় সোহান বায়জিদ সাউদকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়লে সেই গুলি বিল¬াল হোসেনের গায়ে লাগে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এঘটনায় করা মামলাতেও আবু সুফিয়ান ওরফে সোহানের গুলি করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

 

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, নিহত বিল্লাল হাওলাদারের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort