রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার বরপা পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু সিদ্দিক মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া আনোয়ার হোসেন মেহেদী চেক দিয়ে লাভের ওপর টাকা নেয়। পরে ওই চেক আর কখনো ভাঙানো যায় না। ব্যাংক একাউন্ডে টাকা না রেখেই চেক দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লাভের ওপর টাকা নেন মেহেদী। প্রথম কয়েক মাস লভ্যাংশের টাকা দিলেও পরবর্তীতে আর টাকা দেন না। পরে টালবাহানা করে এলাকার লোকজনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রতারণার আশ্রয় নেন।
সম্প্রতি উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা এলাকার সাংবাদিক মোয়াশেল ভুঁইয়ার কাছ থেকে পৃথক দুটি চেক প্রদান করে ১২ লাখ টাকা নেন মেহেদী। প্রথম ৩মাস লভ্যাংশের টাকা প্রদান করেন। পরে টাকা না দিয়ে নানাভাবে প্রতারণার চেষ্টা করছেন। টাকা ফেরত না দিয়ে চেক ফেরত চাচ্ছেন। এ নিয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারক মেহেদী। রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করলে টাকা ও চেক প্রদানের বিষয়টি পরিস্কার হয়। এর পর থেকে পলাতক রয়েছেন আনোয়ার হোসেন মেহেদী।
সাপ্তাহিক আমাদের রূপগঞ্জ পত্রিকার সহসম্পাদক মোয়াশেল ভূইয়া জানান, যৌথ ব্যবসার কথা বলে আনোয়ার হোসেন মেহেদী তার কাছ থেকে দুটি চেক প্রদানের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা নেন। ডকুমেন্টবাবদ ডাচ বাংলা ব্যংকের একটিতে ৫ লাখ ও অপরটিতে ৭ লাখ টাকার চেক দেন। মোয়াশেল ভূইয়া পরবর্তীতে জানতে পারেন এলাকার আরো অনেক লোকের কাছ থেকে সে বিপুল পরিমাণের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এক পর্যায়ে টাকার জন্য মোয়াশেল ভুইয়া চাপ দিলে মেহেদী টাকা না দিয়ে উল্টো সাংবাদিক মো. মোয়াশেল ভূইয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
আনোয়ার হোসেন মেহেদী এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজনকে ম্যানেজ করে মোয়াশেল ভূইয়ার কাছ থেকে কৌশলে চেক ছিনিয়ে নিতে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। ঘটনা আচ করতে পেরে মোয়াশেল ভূইয়া গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট থেকে আনোয়ার হোসেন মেহেদীর নামে উকিল নোটিশ পাঠান। সে উকিল নোটিশ পেয়ে এলাকার কিছু সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে সাংবাদিক মোয়াশেল ভূইয়াকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আনোয়ার হোসেন মেহেদীর বিরুদ্ধে তার নিজ এলাকায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে। সাংবাদিক মোয়াশেল ভূইয়া আইন প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন মেহেদীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও ফোন রিসিভ করেননি।