রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রপ্তানিমুখী রেক্সিন উৎপাদনকারী কারখানার কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট।
বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুর বারোটার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার মৈকুলী এলাকার ইউনাইটেড লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার দুইতলা বিশিষ্ট গুদামে আগুন লাগে। এই ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
লেদার কারখানার শ্রমিকরা জানান, ইউনাইডেট লেদার কারখানায় ৪ শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। লকডাউনের কারণে কারখানা বন্ধ। দুপুর বারোটার দিকে কারখানার কেমিক্যালের গুদামের উপরের তলায় হঠাৎ করে আগুন ধরে যায়। এ সময় পুরো গুদাম ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে কারখানার অন্য ভবনের শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে থাকে।
খবর পেয়ে ঢাকা, ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জের কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টার পর দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্ণেল জুলফিকার রহমান সাংবাদিকদের জানান, গুদামে কেমিক্যালসহ বিভিন্ন প্রকারের দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ায় আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে পারেনি।
তিনি বলেন, গুদামের দ্বিতীয় তলার পেছন দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট নাকি কোনো কিছুর আগুন থেকে এই অগ্নিকান্ড ঘটেছে তা তদন্ত করে জানা যাবে। তবে গুদামে কোনো লোকজন না থাকায় আগুনে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের আলামত পাওয়া যায়নি। গুদামে কেমিক্যাল মজুদ করে রাখতে সরকারি বিধিনিষেধ মানা হয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
এদিকে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ্ নূসরাত জাহান, জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই একই উপজেলায় এই কারখানাটির অদূরে অবস্থিত হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ৪৮ জন এবং ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়।