নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও কিশোরগ্যাংদের মোটরসাইকেলের মহড়া বন্ধ করা হবে। শুধু কায়েতপাড়া ইউপি নির্বাচনে র্যাব, বিজিবি ও শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রয়োজনে সংখ্যায় আরও বৃদ্ধি করা হবে। চেয়াম্যান প্রার্থীর তিনটির বেশি অবৈধ নির্বাচনী ক্যাম্প তুলে দেওয়া হবে। নির্বাচনী এলাকায় চেকপোষ্ট বসানো হবে। ইউপি নির্বাচনে বিশৃংখলাকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। রূপগঞ্জের ইউপি নির্বাচন মডেল নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত হবে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ নুসরাত জাহান।
সভায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
এছাড়া সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান, চেয়াম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলী, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন টিটু, এডভোকেট গোলজার হোসেন, কামালউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, নির্বাচন নির্বাচনের মতো হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা করতে হবে তাই করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী এখন থেকেই কাজ করছে।
এসময় ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতিক প্রার্থী তায়েবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতিক প্রার্থী জাহেদ আলী, বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) মিজানুর রহমান মিজান, স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) গোলাজার হোসেনসহ মেম্বার প্রার্থীরা উপস্থিত প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
তারা বলেন, নির্বাচনী এলাকার চাকরিজীবিদের সাধারণ ছুটি দিতে হবে। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে ও নাওড়া, কামশাইর, বরুনাসহ আশপাশের এলাকায় নৌকার প্রার্থীকে গণসংযোগে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বরুনা এলাকায় আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়েছে। নাওড়া এলাকার নৌকা প্রতীকের গণসংযোগে হামলা, ককটেল বিষ্ফোরণ, ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও ককটেল উদ্ধার করা হলেও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর রূপগঞ্জ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভোলাব ইউপি ও কায়েতপাড়া ইউপি ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় গোলাকান্দাইল ইউপিতে চেয়ারম্যান হিসেবে কামরুল হাসান তুহিন, ভুলতা ইউপিতে ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভূইয়া ও মুড়াপাড়া ইউপিতে তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।